
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ও বারীনগর বাজারে পোষাকের দোকানসহ সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি দোকানেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়।
সরজমিনে চুড়ামনকাটি ও বারীনগর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে এখানে কোনো প্রকার আইন মানা হচ্ছেনা। চুড়ামনকাটি ও বারীনগর বাজার ও এর আশপাশের বিভিন্ন কাপড়, জুতা, কসমেটিকসহ সব ধরনের দোকানে মানুষের উপচে ভীড় লক্ষ্য করা যায়।
এদিকে, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিকেল ৪টার পর দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশও অমান্য করছেন ব্যবসায়ীরা। অনেক দোকানের অর্ধেক সাটার নামিয়ে ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এ পর্যন্ত চুড়ামনকাটিতে দু’জন ও কাশিমপুরের শানতলায় একজন করোনায় আত্রæান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দু’জন সুস্থ্য হয়েছেন। দেশব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তার পরও চুড়ামনকাটি ও বারীনগর বাজারের চিত্র দেখে মনে হবে মানুষের মধ্যে কোনো রকম করোনার প্রভাব পড়েনি।
চুড়ামনকাটি ও বারীনগর বাজারের প্রতিটি অলি-গলিতে মানুষের ঢল লেগেই রয়েছে। এর মধ্যে কাপড়ের দোকান, জুতার দোকানসহ অন্যান্য সব দোকানেই নারী ও কিশোর কিশোরীর ভীড় জমেছে বেশি। প্রায় সবার সাথে রয়েছে শিশু। মানা হচ্ছেনা কোনো প্রকারের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি। বাজারের গলিগুলোতে চলছে মানুষের সাথে মানুষের ধাক্কাধাক্কি। কোথাও পা ফেলার মত অবস্থা নেই।
এ বিষয়ে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্না বলেন, ‘প্রশাসন বেশ কিছু সর্ত সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে মার্কেট ও দোকান খোলার জন্য অনুমতি দিয়েছে। আমিও সামাজিক দূরত্ব মেনে দোকানপাট খোলার কথা বলেছি। তবে অনেক ব্যবসায়ী সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অভিযোগ পেয়েছি। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে জনসমাগম এড়াতে চুড়ামনকাটি কাঁচা বাজারটি অন্যত্র সরিয়ে আনছি। তাছাড়া সাধারণ মানুষের মধ্যেও সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি। তারা দেশের এই পরিস্থিতিতে কোনো রকম আইন মানছেন না। সেই ক্ষেত্রে করোনা মোকাবেলায় মার্কেট বন্ধ থাকাই উত্তম।’