
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত থেকে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের বাধ্যতামূলক ১৪ দিন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন প্রথা বাতিল করা হয়েছে। চেকপোস্টে কর্তব্যরত ডাক্তার যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে করোনা উপসর্গ না পেলে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন।
তবে কারও শরীরে করোনা উপসর্গ থাকলে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভারত থেকে ফেরত আসা ৬৫ জন বাংলাদেশির সবাইকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে করোনা উপসর্গমুক্ত হওয়ায় নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য ছেড়ে দেয়া হয়।
১৩ মে ভারত থেকে ফিরে আসা ২৭০ জন যাত্রীকেও নিজ নিজ বাড়ি পাঠানো হয়। ভারতে আটকে পড়া এসব বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় দেশে ফিরছে। ব্যবসা, চিকিৎসা, লেখাপড়া ও ভ্রমণে গিয়ে এরা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনায় লকডাউনে আটকা পড়েছিল।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, এর আগে ভারত থেকে যারা ফিরছিলেন করোনা সংক্রমণ রোধে তাদেরকে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। এখন সরকারি নির্দেশনায় ভারত ফেরতদের শরীরের করোনা উপসর্গ না থাকলে তাদের নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তবে কেউ করোনার সন্দেহজনক হলে তাকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানান, ভারত থেকে ফেরত আসা যাত্রীদের বেনাপোল চেকপোস্টেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। যদি কারও দেহে করোনা উপসর্গ পাওয়া যায় তাহলে তাকেই প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। যাদের দেহে উপসর্গ নেই তাদেরকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহাসিন খান জানান, সংশ্লিস্ট বিভাগ থেকে তারা একটি চিঠি হাতে পেয়েছেন সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দেয়া হয়। যাত্রীরা করোনা উপসর্গমুক্ত হলে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। যে কারণে তারা ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষে বাড়িতে ফিরছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩৮ দিনে ১৪ মে পর্যন্ত বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে ফিরেছেন নারী, পুরুষ ও শিশুসহ তিন হাজার আটশ’ ৫৯ জন।