
তিনজন ডাক্তার ও একজন নার্সসহ যশোরে নতুন করে আরও ১১জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শুক্রবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১১জনের শরীরে করোনাভাইরাসে অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৯০জনে। যদিও ইতিমধ্যে ৪৪জন সুস্থ হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মিডিয়া ফোকাল পার্সন ডাক্তার রেহেনেওয়াজ রনি গ্রামের কাগজকে নিশ্চিত করেছেন, ১৩ মে পাঠানো ১৮টি নমুনার পরীক্ষা সম্পন্ন করে ১৫ মে শুক্রবার সন্ধ্যায় যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ রিপোর্ট পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে নতুন ১১ জনের নমুনায় পরীক্ষার রেজাল্ট পজেটিভ। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের একজন গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ, মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত একজন মেডিকেল অফিসার, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন ইন্টার্ণ ডাক্তার ও একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। এদের মধ্যে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কোয়ার্টারে পরিবারসহ বসবাস করেন একজন গাইনি ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ। মণিরাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার শহরের শংকরপুর এলাকায়, ইন্টার্ণ ডাক্তার ঘোপ সেন্ট্রাল রোড এলাকায় ও সিনিয়র স্টাফ নার্স সদর উপজেলার বারীনগরে বসবাস করেন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে আরও রয়েছেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত একজন সিনিয়র স্টাফ নার্সের স্বামী। ওই নার্স করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন তা নিশ্চিত করা হয় গত ১২ এপ্রিল। তারা বসবাস করেন শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডে। এছাড়াও শহরের খড়কী পীরবাড়ি এলাকার এক যুবক (২২), শহরতলীর বকচর এলাকার এক মহিলা (৩৫), শেখহাটি বাবলাতলা এলাকার এক যুবতী (১৯), মন্ডলগাতি গ্রামের আদর্শপাড়ার এক বৃদ্ধ (৬০) বাঘারপাড়ার পাঠান পাইক পাড়ার এক বৃদ্ধা (৬০) ও মণিরামপুরের মশ্মিমনগরের এক ব্যক্তি (৫০) নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। অপরদিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২০টি নমুনার মধ্যে যশোরের মণিরামপুরের সাবেক একজন ব্যাংক কর্মকর্তার পজিটিভ পাওয়া গেছে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন গ্রামের কাগজকে জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল সন্ধ্যায় আসার পরপরই প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে। আক্রান্তদের সাথে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রত্যেককে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ ও অনুরোধ করা হয়েছে। আক্রান্তদের সাথে কতজন সংস্পর্শে ছিলেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। একই সাথে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাসহ বসবাসের বাড়ি, প্রয়োজনবোধে এলাকা লকডাউন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে আজই তা বাস্তবায়ন করা হবে।