আমাগের এলেকার এক দাদা সব সুমায় কইয়ে বেড়ান সব কিচুর সাতে আপোষ করা যাবে কিন্তুক ছবি তুলার সাতে কোন আপোষ নেই। ছবিই সব বাকি সব মিত্যে। তার সাফ কতা দরকার হলি কেইনো মাইরে ঠেলা গুতো দিয়ে আগোয় সুমকি যাতি হবে ছবি তুলার জন্যি। আমি কলাম দাদা ঠেলা মাইরে সুমকি যাতি যাইয়ে ধরো তুমার ঠেলায় অনুষ্ঠানের পোধান অতিথিই পইড়ে যায় তালি কি হবে। দাদা সাতে সাতে কলে আবার কি হবে। অতিথিরে যকন টাইনে চিয়ারে তোলবো তখন আবার ছবি হবে। এরে কয় ছবিত্তে ছবি। আমি থ’ মাইরে গিলাম ইডা আবার কিরাম কতা। আগে শুনতাম তুলা ছবি ইস্টুডিওতি নিয়ে গেলি তাতেত্তে ছবি বানায় দিতো তারে কইতো ছবিত্তে ছবি। আর দাদা কচ্চে আরাক কতা। দাদা বুজদি পাইরে আমারে কলে জানি তুমার জ্ঞাণের বহর খাটো এ সব বুজবা না আইসো বুজোয় দিচ্চি। আমি আগোয় গেলাম। দাদা কলে শোন আগে আপন ইচ্চেয় এট্টা ঘটনা ঘইটতো তার পর ছবি তুলা হইতো আর একন যাইচে ঘটনা ঘটায় নিয়া হয় তারপর ছবি তুলা হয়। ককনো ক্যামেরা যার হাতে সেইতিই পরিচালক আবার ককনো কিচু অতি উসসাহী আচে তারাই পরিচালক। তারা ফটক তুলার আগে সব বুজোয় দেই। হাসতি হবে না কানতি হবে। কার ঘাড়ে হাত দিতি হবে কিম্বা কার পাশে দাড়াতি হবে। তারপর সেই ছবি তুইলে মনের মতো কইরে কাইটে কুইটে সাইজ কইরে সাজায় রাখা লিকা দিয়ে ছাড়তি হবে ফেসবুকি ব্যাস কিল্লা ফতে। আমার চোক শন্যি ভাব দেইকে দাদা কলেন, একনো বুজি আসিনি তাইতো। শোন আগে মানুস কাজ কইত্তো বেশী, কতা কইতো কম। তারপর মানুস কতা কইতো বেশী ফটক তুইলতো কম আর একন ফটক তোলে বেশী সব কিচু করে কম। অনেক জাগায় দেকপা বড় অনুষ্টান হবে। ফটক তুলা শেষ অনুষ্টানও যাবে পাইজে। দাদা গড়গড় ক্ইরে কইয়ে চলেচে, সব সুমায় ছবির জুয়ার এক রকম থাকে না। ছবি তুলারও গোন আচে। গোন বুইজে ছবি তুল্লি পাল্লি আর কিচু লাগে না। আমি হা কইরে তাকায়েই আচি সে কচ্চে দাদা এ সব। সাহস কইরে কলাম দাদা ছবি তুলার গোন মানেডা কি ? দাদা কলে সিডা যদি বুজদে তালি পেত্তেক দিন কষ্ট কইরে এই সব লিকতে না গোনের সুমায় এককান ছবি তুইলে ছাড়লিই দেশের লোক তুমারে টকাস কইরে চিইনে ফেলতো। ইতি অভাগা আক্কেল চাচা ০১৭২৮৮৭১০০৩