ক্লাবের চাপে পড়েই লিগ বাতিলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বাফুফেকে। যদিও ফুটবলাররা
চেয়েছিলেন আরো একটু সময় নিয়ে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নেবে ক্লাব ও বাফুফে। কারণ একদিকে
তাদের পড়তে হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটে, অন্যদিকে এ অনিশ্চিত যাত্রায় তাদের ফিটনেস রক্ষার
লড়াইটা আরও কঠিন হয়ে পড়ল।এ যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। এমনিতেই করোনাভাইরাসের কারণে মাঠের খেলা বন্ধ। এ বছর
লিগ হবে কি হবে না এ নিয়েই শঙ্কায় ছিল দেশের ফুটবলাররা। ক্যাম্পে না থাকাতে নিজেদের
বাড়িতে একা একা অনুশীলন করে ফিটনেস রক্ষার কঠিন লড়াইয়ে নেমেছিলেন তারা। রোববার বাফুফে
এ মৌসুমে আর লিগ না হওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় অনিশ্চিত এক যাত্রা শুরু হলো দেশের ফুটবলারদের।ঢাকা আবাহনীর অন্যতম গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেলের কণ্ঠে হতাশা, লিগ হবে না শুনেছি।
এখন কী করব? আরেক অভিজ্ঞ গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা এবার খেলছেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের
হয়ে। তার মতে, এটা রীতিমতো একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তার কথায়, চলমান লিগ বাতিল করা
আমি মনে করি একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। বেশির ভাগ দেশই লিগ চালানোর ব্যাপারে প্রক্রিয়াধীন।
আমার কাছে মনে হয় আরো কিছুদিন অপেক্ষা করে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা আসত। সেটা বেশি
যুক্তিযুক্ত হতো।ঢাকা আবাহনীর অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরীর আক্ষেপ ফেডারেশনের এ ধরনের
সিদ্ধান্তের কারণে। তার কথায়, লিগ বন্ধ হয়েছে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু এ ধরনের একটা সিদ্ধান্ত
নেওয়ার আগে ফেডারেশনের উচিত ছিল আমাদের ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলে নেওয়া। কারণ শুধু
ক্লাব দিয়ে দেশের ফুটবল না। ফুটবলারদের নিয়ে দেশের ফুটবল। এখানে তারা যে সিদ্ধান্ত
নিয়েছে পুরোটাই ধোঁয়াশা। এই একটা সিদ্ধান্তের ওপরে দেশের এতগুলো ফুটবলারের জীবন ও
জীবিকা জড়িয়ে আছে। ফেডারেশন আমাদের মা-বাবার মতো। তারা শুধু ক্লাবের দিকটা দেখবে, ফুটবলারদেরটা
দেখবে না, এটা তো হতে পারে না। আমরা সব সময়ই চেয়েছি ক্লাব, ফেডারেশন, ফুটবলার সবার
আলোচনার ভিত্তিতে একটা সমন্বিত সিদ্ধান্ত। যাতে কেউই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।