
রাজশাহীর পুঠিয়ায় নতুন করে আরও একজন ঢাকা ফেরৎ গার্মেন্টসকর্মী করোনা রোগি শনাক্ত করা হয়েছে। এই নিয়ে উপজেলায় করোনা রোগির সংখ্যা দাঁড়ালো মোট ৬ জন। তবে আগের ৫ জনকে আইসোলেশনে রেখে প্রাথমিক চিকিৎসায় করোনামুক্ত হওয়ায় তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে লকডাউন মুক্ত করা হয়। এদিকে নতুন শনাক্ত পরিবারকে লকডাউনে রেখে রোগিকে বাড়িতেই আইসোলেশনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ নাজমা আকতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগি উপজেলার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের সাধানপুর গ্রামে। তিনি গত ৮ মে ঢাকার আশুলিয়া বাড়িতে ফিরেছেন।
জানা যায়, তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকের কাজ করতো। বাড়ি আসার পর গত ১৩ মে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ১৮ মে তার নমুনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসে। এদিকে করোনা আক্রান্ত ওই রোগিকে নিজ বাড়িতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক টিম সার্বক্ষণিক তাদের চিকিৎসা সেবা পর্যাবেক্ষণ করছেন।
এ বিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান বলেন, ইতিমধ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগির বাড়িসহ তারা যে সকল স্থানে যাতায়াত করছেন সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে। রোগিসহ আশেপাশে কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল রাজশাহী জেলায় সর্বপ্রথম করোনা রোগি শনাক্ত হয় পুঠিয়া উপজেলার জিউপাড়া-বগুড়াপাড়া গ্রামের একজন পুরুষ পোষাকশ্রমিক। এর একদিন পর অপর রোগি নারী পোষাকশ্রমিক শনাক্ত হয় সদর ইউনিয়নের গন্ডগোহালী গ্রামে। গত ১৮ এপ্রিল শনাক্ত হয় ভালুকগাছি-নন্দনপুর গ্রামের একজন ব্যবসায়ী। সর্বশেষ গত ২০ এপ্রিল তারাপুর ও সৈয়দপুর গ্রামের দুইজন নারী পোষাক শ্রমিককে করোনা রোগি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। আক্রান্তরা সবাই নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকা থেকে এসেছেন।