করোনায় মানসির জান যায় যায় অবস্তা কিন্তুক এর মদ্দিও থাইমে নেই পোতারকগের হরকোলি কায়দায় পোতারনা। মুকি মাকস পইরে স্বেচ্চাসেবী সাইজে লোকের বাড়ি যাইয়ে চুরি ডাকাতি কত্তেচে একদল টাউট। আবার শুনিলাম ফিরি মাকস দিয়ার নাম কইরে মাকসে অজ্ঞানকরা জিনুস লাগায়  থোচ্চে ফিরি পাইয়ে মুকি বানলিই কম্ম কাবার। মলম পাটি একন করোনায় হয়েচে মাকস পাটি। এ তো গেল দূর দূরাস্তের কতা। গ্যালো পশশু শুনতি পালাম আমাগের জিলারই এক ঘটনা। মাইয়েডার নাম চন্দনা দাস। তার বাপের বাড়ি কেশবপুরির হাসানপুর। স্যানতে ইজিবাইকি চইড়ে আসতিলো শউর বাড়ি মনিরামপুরির জুড়োনপুরি। কেশবপুর পৌরসভার ত্রিমোহমনী গাজীর মোড়ের মেন রাস্তাত্তে ইজিবাইকি ওটে কয় টাউট। তারা ইজিবাইকে উইটেই আষাঢ়ে গল্প উসায় দেয়। এক বিটা কয় সে নাই দুইভরি ওজনের এট্টা সুনার চাঙড়া পাইয়েচে। যার দাম কমচে কম লক্ক টাকার ওপরে। কাল তার মাইয়ের বিয়ে তাই যশোর টাউনি যাচ্চে সুনার চাঙড়াডা দিয়ে গলার চেইন আর কানের দুল বানাতি। এই দুডো বানানোর পর ও চাঙড়ায় যে সুনা বাইচে থাকপে তার দাম নিদেন পক্কে ষাট হাজার টাকা। কিন্তুক টাকা তার দরকার নেই কেউ যদি গলার হার কানের দুল নিয়ে চাঙড়াডা চাইতো তাও তারে দিয়ে দিতাম। মাইয়ে পার করার টেনশনের অভিনয়তি চন্দনা মাসি এবার ঘটকচুর মতো সাজো জালেই আলোয় পড়িল। ভাব বুজতি পাইরে বিটাডা তারে টোপ দিলো বৌদি আপনি কি আমারে এট্টু সাহায্য করবেন, এই চাঙড়াডা আপনি নেন। আর আপনার গলার চেইন আর কানের ঝুমকো দুডো আমারে দেন। তালি আমারে আর কষ্ট কইরে টাউনি যাতি হবে না। আপনি ইত্তিতে দুড়ো গয়না আবার গইড়ে নিতি পারবেন সাতে এই দেড়ি ষাট হাজার টাকাও আপনার ঘটে থাকপেনে। টাউটির সাতে যাত্তিরি সাইজে উটা দুই বিটাও সুমানে পুকায় যাচ্চিল অদল বদল করার জন্যি। হাজার হোক মাইয়ে মানসির মন, সুনা দানায় টান দেবেই। চাঙড়াডা হাতে নিয়ে নাইড়ে চাইড়ে দেকে শেসমেষ মন টইলেই গেলো। গাজীর মোড়েত্তে মইদ্যকুল তেলপাম্প ছাড়ায়ে ঘের পার হইয়ে ফকির রাস্তার এট্টু আগেত্তে ফিটিং কমপিলিট। সুনা অদল বদল কইরে ইজিবাইকতে উইলে তারা হাওয়া। মাসী বড় জিতা জিতিসি ভাইবে বাড়ি ফিরেই আগে পরিচিত এক স্যাকরার দুকানে যাইয়ে সুনার চাঙড়া দেকাতিই নকলমাল ধরা পইড়েচে। একন কাইন্দেও কুল পাচ্চে না।
ইতি
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮ ৮৭১০০৩