সেদিন আমাগের পাশের বাড়ি খুব কাইজে ফ্যাসাদ হচ্চে। মাত্তর কয়দিন আগে লাইন ঘাট কইরে বিয়ে করিলো, একন হররোজ কাইজে লাইগেই আচে। পরে জানতি পাল্লাম কেওয়াজের হেতু হচ্চে মুবাল ফোন। সেই ভাইপোর মুবাল নিয়ে বৌমা এট্টু বাপের বাড়ি কল দেবে বিলে নিলো। দেখে কোভিড-১৯ নামে এট্টা নাম মুবালি সেব করা। খুব আগ্রহ কইরে বৌমা কল দিতিই তার নিজির মুবালিই কল চইলে আইয়েচে। তারপর ভাইপোর যা হইলো তা আর নাইবা কলাম। শুনিচি যে সারাক্ষন হাসে কিম্বা যার মুকি সব সময় হাসি লাইগেই থাকে তারে কয় হাসমুক মানে হাসিমুক। কিন্তুক যার মুকি কোন হাসি নেই সব সময় মুকটা আমচুর কইরে রাকে তারে কি কয়? এই নিয়ে আলোচুনা হচ্চে। একজন কলে ইডাতো খুব সুজা কোচ্চেন যার মুকির হাসি নেই মানে হাস ব্যান্ড হইয়ে গেচে তারে হাসব্যান্ড ছাড়া আর কি কবে । উত্তরডা শুইনে থ’ মাইরে গিলাম। সুংসারে হাসব্যান্ড হলি কেন মুকির হাসি আস্তের আস্তের উধাও হইয়ে যায় সিডা নিয়ে কেউ চালি গবেষুনা কত্তি পারে তেবে তাতে কোন ফল আসপে কিনা সিডার গ্যারান্টি কেউ দিতি পারবে না। শুনিচি এক বড় বিজ্ঞানীর একবার বউ নিয়ে গবেষুনা করার খায়েশ জাইগলো। এতদিন তিনি সুংসার ধম্ম ছাইড়ে বিজ্ঞান নিয়ে পইড়ে ছিলেন বিলে দিন দুইনে সম্পক্কে তার কোন ধারনা ছিলো না। বউ নিয়ে গবেষুনা কত্তি যাইয়ে তার মনে হইলো গবেষুনার জিনুস সব সুমায় কাচে পিটি না থাকলি ককন কি হচ্চে তা জানা বুজা মুশকিল। তাই পরের বউ’র ওপর গবেষুনা না কইরে নিজির এট্টা বউ হলি এ কাজে যুইত হয়। যেই ভাবা সেই কাজ। খুব ঘটা কইরে তিনি বিয়ে কইরে ফেললেন। বচর খানেক পর এক বন্দু তার বাড়িতি গবেষুনা কদ্দুর আইগোলো জানতি আইলো। আইসেই তো তিনি বিয়াকুপ। গবেষুনা আইগোনো তো দূরির কতা এই এক বচরে তিনি ভুইলেই গেচেন গবেষুনা কি জিনুস। সিনেমায় যিরাম মাতায় ঘায় খাইয়ে হুশ ফিরার পর পুরোনো কতা সব ভুইলে যাইয়ে কয় আমি কনে ? সেই গবেষক বিটার সিরাম দশা। আমাগের এক ম্যা’ভাই এই আলোচুনায় পোধান বক্তার মতো বক্তিমা দেলেন। তার বয়ানের মূলকতা হচ্চে, বউ খুব মিস্টি যতক্ষন বন্দ কইরে রাকে মুকটি। আর বর যেন চাক ভরা মধু, যতক্ষন পকেটে থাকে টাকার জাদু। এই কতা শুইনে একজন কলে ম্যা’ভাইর নামডা কি নোবেল কমিটির কাচে গেচে! ইরাম এট্টা কতার উপর নোবেল না পালি তো বিরাট অলেয্য হবে। ইতি অভাগা আক্কেল চাচা ০১৭২৮ ৮৭১০০৩