গ্যালো সোমবার বুড়িগঙ্গায় লঞ্চ তলায় গিলো। ঐদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকি মুন্সিগঞ্জের কাঠপট্টিত্তে মন্নিংবাড নামের লঞ্চডা ছাইড়ে আইলো ঢাকার সদর ঘাটের উদ্দেশ্যে। ঘাটের কাছাকাছি আসার অল্প এট্টু দূরি থাকা অবস্তায় পেচনতে আইসে ময়ুর ২ নামের চানপুরিত্তে ছাইড়ে আসা এট্টা বড় লঞ্চ ঘায় মারিল। ঘায় খাইয়ে ছোট লঞ্চডা বড় লঞ্চের তলায় আইসে বাড়ি খাইয়ে উল্টোয় তলায় গিলো। ছোট লঞ্চডায় পিরায় গুটা পঞ্চাশেক লোক ছিলো। ঢাকার পুস্তাগুলার ডুবুরীরা খবর পাইয়ে উদ্দারে লাইবে পড়িল। তেবে যত সুমায় যাচ্চিল মানসির বাচার আশা ততই কুইমে যাচ্চিল। এক এক কইরে ডুবুরীরা ৩২ লাশ পানির তলেত্তে উদ্দার করিল। যার মদ্দি ২১জন বিটা ৮জন বিটি আর ৩ডে বাচ্চার লাশ ছিলো। স্বজন হারানো মানসির চোকির পানিতি তকন বুড়িগঙ্গা একাকার। হটাস রাত ১০টার দিকি সারাদেশরে অবাক কইরে দিয়ে লঞ্চেত্তে নিজি নিজি বাইরোয় আসলেন সুমন ব্যাপারী নামের এক চাচা। মুন্সিগঞ্জের আব্দুল্লাপুর এলেকার ফয়সাল ব্যাপারীর ছাবাল তিনি। ৩৫ বচর বয়সের এই চাচা পুরান ঢাকার বাদামতলীতি ফলের দোকানে কাজ করেন বিলে জানায়েচেন তার আত্মো স্বজন। তার বাইচে থাকা নিয়ে এর মদ্দি হৈচৈ পইড়ে গেচে। বেশীরভাগ মানসির মনে পোশ্ন ১৩ ঘন্টা পানির নিচে ডুইবে থাকা লঞ্চের মদ্দি তিনি কি কইরে বাইচে ছিলেন। যাগের মনে সন্দো তাগের উত্তর সুমন চা নিজিই দেচেন। তার মনে হয়েচে পানির তলে তিনি মিনিট দশেক ছিলেন। এই সুমায় ককনোই তার হুশ হারায় নি। এর মদ্দি তিনি দুবার পিচ্চাপ কইরেচেন ওযু ও কইরেচেন। দুয়া দুরুদ পইড়েচেন। লঞ্চ ডুবলি পানি খাইলেন কিনা শুদু ইডাই তার মনে আসতেচে না যদিও তার হুশ ছিলো। যদিও অল্প এট্টু খাওয়েই থাকেন তাও পিচ্চাপের কারনে খালি হইয়ে গিলো বিলে তিনি জানায়েচেন। বিপদের সুমায় শুনিচি এক এট্টা মিনিট এক এট্টা ঘন্টার চাইতিও বড় মনে হয় স্যানে সুমন চা’র কাচে ১৩ ঘন্টারে কেন ১০ মিনিট মনে হইলো বুজি আইসতেচে না। যদি ১০ মিনিট তিনি ডুইবে থাকেন তেবে তিনি ৫ মিনিট অন্তর অন্তর পিচ্চাপ ফিরেছেন পানির তলে। যার কুকড়ো সে যদি ল্যাজের দিকিত্তে জবোই করো তাতে আমাগের কওয়ার কিচু থাকে না। তেবে এট্টা জীবন যে ৩২টে মরনের চাইতে শক্তিশালী সিডা চোকি আঙুল দিয়ে দেকার দেলে সুমন চা। মরা ৩২, জ্যান্ত ১, লঞ্চের বাকি লোক কিডা কনে তার কোন খোজ নেই। এ নিয়ে কারো মাতাব্যাতাও নেই। স¹লি ব্যস্ত সুমনের পানির তলে বাচার রহস্য নিয়ে, যারা মইরে গ্যালো তাগের নিয়েও কারো মুকি রা নেই। ইতি অভাগা আক্কেল চাচা ০১৭২৮ ৮৭১০০৩