
যশোরের বাঘারপাড়া পল্লী জীবিকায়ন কর্মসূচির উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা আলি আকবরের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। রোববার গ্রামের কাগজে সংবাদ প্রকাশের পর মুখ খুলতে শুরু করেছেন ওই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বরাবরের মতো এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন আলি আকবর।
অভিযোগে জানাগেছে, প্রকল্প কর্মকর্তা আলি আকবর প্রায়ই হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে নিজের অফিসের কাজকর্ম ফেলে রেখে উপজেলা সদরে অহেতুক ঘুরাঘুরি করেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে করোনার এই সময়ে গত ৩ মে এমএলএসএস সুফিয়া খানমকে অফিসে ডেকে এনে সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত নিয়মিত অফিস করার নির্দেশ দেন। এছাড়া অফিসের একসেট চাবি এক কর্মচারীর কাছে থাকলেও গত ২৩ জুন রাত ৮ টার দিকে এই মহিলা কর্মচারীকে অফিসে ডেকে আনেন। বিভিন্ন সময় অফিস টাইম শেষে প্রকল্প কর্মকর্তা আলি আকবর তার বাসার কাজ করার জন্যে সুফিয়া খানমকে ডেকে পাঠান। এ নিয়ে সুফিয়া খানমের সংসারে অশান্তি দেখা দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। গত ঈদে কয়েকজন স্টাফ (এফও) বেতনভাতা ও উৎসব ভাতা দাবি করলে প্রকল্প কর্মকর্তা আলি আকবর তাদের বলেন ‘আমার কোনো এফও লাগবেনা,আমি একাই অফিস চালাবো।’ অফিসের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প কর্মকর্তা আলি আকবর স্বভাবসূলভ ভঙ্গিতে উত্তর দেন। বলেন,‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। অফিস টাইমের এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর অফিসে আসেন সুফিয়াসহ অভিযোগকারীদের অনেকেই। এ নিয়ে কথা বললেই আমার বিরুদ্ধে দাঁড়ান তারা।’
এ প্রসঙ্গে যশোর বিআরডিবির উপপরিচালক তপন কুমার মÐল বলেন ‘সুফিয়ার সাথে যে ঘটনা ঘটেছে তা ভুল বোঝাবুঝি বলে মনে হয়েছে। এ সময় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মত দেন এই কর্মকর্তা।