
বিএনপি এখন শক্তিহীন দলে পরিণত হয়েছে। তাদের রাজনীতি দিন দিন রসাতলে যাচ্ছে।
রাজনৈতিক দলের থাকতে হয় নীতি। আর এই নীতি নির্ধারিত হয় দলের সদস্যেদের দ্বারা। কোনো ব্যক্তি বিশেষের দ্বারা নয়। কিন্তু রাজনৈতিক দল বিএনপির নীতি এখন নির্ধারিত হচ্ছে এক ব্যক্তি দ্বারা। তিনি হলেন জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তারেক রহমানের নীতিতে চলার কারণে বিএনপির রাজনীতি এখন রসাতলে। বিএনপির অবস্থা এখন হাল বিহীন জাহাজের মতো। কারণ নেতৃত্ব এমন একটি গুণ যার গুণে গুণান্বিত হবে সবকিছু, কিন্তু বিএনপি'র ভেতর সেই গুণটুকু নেই।
তাদের মতে, গণতান্ত্রিক দলের নীতি নির্ধারণ হলো দলের সব নেতাদের সঙ্গে, বিশেষ করে ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া। কিন্তু তারেক রহমান মধ্যে একনায়কতন্ত্রী মনোভাব। তারেক রহমানের নীতিতে কোনো দিন বিএনপি এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না।
রাজনীতির মাঠ থেকে উঠে আসা নয় বলে তারেক রহমানকে অনেকেই নেতা মানতে নারাজ। পারিবারিক সূত্রে আসার কারণে একনায়কতন্ত্রী সৃষ্টি করেছেন দলের মধ্যে। আর এজন্যই বিএনপি এখন শক্তিহীন। যার ফলে দলের মধ্যে ধরেছে ভাঙন। বিএনপির নেতা তারেক রহমান দলের হাল ধরায় অধিকাংশ নেতারা তার কথা আমলে নেয় না। আর ঠিক এজন্যই খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন সফল হয়নি বলে মনে করেন অনেকেই।
দলটির একাধিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে তারেক রহমানের নেতৃত্বকে নেতাকর্মীরা ভরসা করেছিলো। কিন্তু বিএনপি সে পথে পা বাড়ায়নি। উল্টো খালেদার মুক্তি আন্দোলন না করে অর্থ উপার্জনের রাজনীতি করেছে তারেক রহমান।
খালেদার মুক্তি আন্দোলন নিয়ে কি এমন গোপন কৌশলে কাজ করেছে তারেক রহমান, যা তার দলের আর কারো জানার অধিকার থাকতে পারে না? খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন, তিনি কারারুদ্ধ হলে স্বতস্ফুর্তভাবে হবে বিরাট আন্দোলন, কিন্তু তাও হলো না। কেনোনা, খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা এখন আর সেই পর্যায়ে নেই। বাইরের লোক বা দলের নেতাকর্মীরা জানে না বিএনপির ভেতরে কী হচ্ছে। তবে জনগণ এইটুকু বুঝতে পারে, বিএনপি যদি তার শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিনির্ধারণ করতে থাকে, তবে জনগণ থেকে দ্রুত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তো না। পরিবারতন্ত্রের ফলে রাজনীতি কত জটিল, অগণতান্ত্রিক ও ভয়াবহ হতে পারে, বিএনপির রাজনীতি থেকে তার প্রমাণ মেলে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে বলেন, বিএনপির ভরাডুবির নেপথ্যে দলটির নেতৃত্বের শূন্যতা অন্যতম একটি কারণ। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় দেশের মানুষ তাদের ঘৃণা করেন। একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে, আরেকজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা, মানি লন্ডারিং মামলা, হত্যা খুন ও দুর্নীতিতে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। তাদের নেতৃত্ব আর কিভাবে ভালো হবে, তারা তো ভাবে শুধু হত্যা খুন ও দুর্নীতি নিয়ে। দেশের জনগণকে নিয়ে ভাবে না।