
যশোরের বাঘারপাড়ায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় বরসহ ছয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার সকালে সাজাপ্রাপ্তদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে। বর রাজু হাসান পাকের আলী গ্রামের শাহীন দফাদারের ছেলে। পেশায় তিনি ইজিবাইকচালক।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার কিছু সময় পর বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আফরোজের কাছে খবর আসে জামালপুর গ্রামে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। তিনি দ্রæত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন। এসময় বরসহ বাল্যবিয়েতে সহযোগিতা করার অভিযোগে ছয়জনকে আটক করে ইউএনওর কার্যালয়ে আনা হয়।
ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর রাজু হাসানকে ছয়মাসের কারাদন্ড দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়া আফরোজ। এসময় তিনি বরের পাঁচ সহযোগীকেও বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। তাদের মধ্যে একই ইউনিয়নের ওয়াদীপুর গ্রামের ইয়াকুব আলীর ছেলে নওশের আলীকে তিনদিন, শ্রীরামপুর গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে সবুজ হোসেনকে সাতদিন, পাকের আলী গ্রামের হোসেন দফাদারের ছেলে সাহেব আলীকে দশদিন, শমসের দফাদারের ছেলে শাহ আলমকে সাতদিন এবং সামছুর রহমানের ছেলে সাহাবুর রহমানকে তিনদিনের কারাদন্ড দেয়া হয়।
বাঘারপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন জানান, বুধবার সকালে আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানিয়া আফরোজ বলেন, ‘বাল্যবিয়ের সংবাদ পেয়ে দ্রæত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তা বন্ধ করি। অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সাথে কথা বলে জেনেছি তাকে জোর করে বিয়ে দেয়া হচ্ছিল। সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায়। তাকে সাহস দিয়েছি। আশ্বাস দিয়েছি পড়াশোনা চালিয়ে নেয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করার’।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যকে খোঁজ রাখতে বলেছেন বলে জানান ইউএনও।