
পৃথিবী জুড়ে অব্যাহত করোনার দাপট। দিন যত এগোচ্ছে ততই উর্ধ্বমুখী হছে আক্রান্ত ও মৃতের গ্রাফচিত্র। চারদিকে শুধুই আতঙ্ক। এই অবস্থায় কিছুটা স্বস্তির কথা শোনালেন একদল মার্কিন বিশেষজ্ঞ। গবেষকদের দাবি, সূর্যের তাপে কিছুটা হলেও হ্রাস পাবে করোনার কার্যক্ষমতা। গোটা বিশ্ব যখন করোনা ত্রাসে আতঙ্কিত তখন মার্কিন বিজ্ঞানীদের এই চাঞ্চল্যকর তথ্যে বিষ্মিত আমজনতা।
কিন্তু কীভাবে সূর্যের আলোতে কমতে পারে করোনার প্রকোপ? গবেষকরা জানাচ্ছেন, সূর্যের তাপ থেকে নির্গত অতিবেগুনি রশ্মি করোনাকে নির্মূল করতে সাহায্য করবে। তবে সূর্যের আলোকরশ্মির প্রভাবে করোনা ভাইরাস কী আদেও পুরোপুরি ধ্বংস হবে কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানাননি তারা।
এদিকে করোনা সংক্রমণের জেরে আমেরিকা,ইতালি,স্পেন এবং ব্রাজিলের অবস্থা ক্রমশ ভয়ংকর থেকে ভয়ংকরতর হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় মারণ ব্যাধিকে বাগে আনতে চলছে বিজ্ঞানীদের নিরন্তন আলোচনা গবেষণা। আর এই গবেষণাতেই উঠে এসেছে নয়া এই তথ্য। গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যেমন ক্ষতিকর তেমনই সূর্যের তাপে আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর সঞ্চার হয়।
যা আমাদের ইমিউনিটি সিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়াও সূর্যের তাপ থেকে নির্গত রঞ্জক পদার্থ আমাদের শরীরে মেলানিনের সৃষ্টি করে। আর এই মেলানিনের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশী। মানব শরীরে নানারকম রোগ প্রতিরোধে এই মেলানিনের ভূমিকা অপরিসীম। ফলে গবেষকরা মনে করছেন, এই মেলানিন করোনার বিরুদ্ধেও লড়তে সক্ষম হবে। তবে সবটাই নির্ভর করছে আক্রান্তের বয়স এবং তার ইমিউনিটি শক্তির উপর।
বিজ্ঞানীদের দাবি, যার শরীরে যত মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থের উপস্থিতি বেশী তার রোগ প্রতিরোধ তত ক্ষমতা বেশী। অন্যদিকে, গবেষকরা আরও একটি জিনিস দেখিয়েছেন। আর সেটি হল আমেরিকা,ইতালি,নরওয়ে,স্পেন,ফ্রান্স প্রভৃতি দেশের নাগরিকরা অতিরিক্ত ফর্সা হওয়ায় তাদের শরীরে মেলানিনের উপস্থিতি কম। ফলে এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত দেশগুলির তুলনায় এই সমস্ত দেশের মানুষদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক কম। ফলে এই দেশগুলিতে লাগামছাড়া করোনা আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। কিছুতেই টানা যাচ্ছে না রাশ।
যার ফলে এই সমস্ত দেশের সরকার নাগরিকদের ইমিউনিটি শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে সারাদিনে অন্তত ১৫ থেকে ২০মিনিট রোদে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। আর সেটা অবশ্যই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে।