
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণত সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এত ব্যর্থতার পরও তিনি পদে আছেন। তার লজ্জা হওয়া উচিত। অনতিবিলম্বে তিনি যদি পদত্যাগ না করেন, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উচিত হবে তাকে বরখাস্ত করা। শুধু স্বাস্থ্যমন্ত্রী নয়, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার (১৩ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত রিজেন্টের সাহেদ ও জেকেজির ডা. সাবরিনা গংদের ভুয়া করোনা রিপোর্টে প্রতারিতদের ক্ষতিপূরণ, পুনঃপরীক্ষা ও প্রতারকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতাল ও ডা. সাবরিনা দম্পতির জেকেজি হেলথকেয়ার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা না করে হাজার হাজার নিরীহ মানুষকে ভুয়া করোনা রিপোর্ট দিয়েছে। এ ঘটনা সম্পূর্ণ প্রতারণা। করোনা ভাইরাস মহামারি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যসেবা কোন পর্যায়ে আছে। তাই এখনই সময় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন করা। অন্যথায় দেশ আরও বড় বিপদের সম্মুখীন হবে।
বক্তারা আরও বলেন, করোনা ভাইরাস পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি গোটা বিশ্বে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছে। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমন ন্যক্কারজনক ও নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয় না। বাংলাদেশ ইতিহাস তৈরি করেছে।
মানববন্ধনে দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ডাক্তার-নার্সদের খাবার কেলেঙ্কারির বিচার, করোনা প্রতিরোধ সামগ্রীতে ভেজাল ও উচ্চ মূল্য রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ, সাধারণ রোগীদের করোনা চিকিৎসায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, ব্যাপক হারে অ্যান্টিবডি কিটের ব্যবহার নিশ্চিতে সব বাধা দূর, স্বাস্থ্যখাতে দুর্নীতির গডফাদারদের চিহ্নিত করা, পৃথক স্বাস্থ্য কমিশন গঠন, চিকিৎসকদের দ্বারা স্বাস্থ্যখাতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন ও স্বাস্থ্য বাজেটে ৫০ শতাংশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী কামরুজ্জামান বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজম, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান খান বাপ্পী প্রমুখ।