
আবারও মণিরামপুর পৌর এলাকার অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দুই বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ৩টার দিকে বিজয়রামপুর-বাঁধাঘাটার বিল্ডিংএর সাব-কন্ট্রাকটর নজরুল ইসলাম ও তার বোন শাহিনুর খাতুনের বাড়িতে এ লুটের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসীর অভিযোগ পুলিশের তৎপরতা না থাকায় একের পর এক স্থানীয় চিহ্নিত অপরাধীরা চুরি-ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, এসব অপরাধের দাগী ব্যক্তিদের আটকের জন্য খোঁজা হচ্ছে। তবে সোমবার রাতে ওই এলাকার চোর সিন্ডিকেটের হোতা মিলনকে আটক করা হয়েছে বলে এস আই খান আব্দুর রহমান দাবী করেন।
জানা যায়, বিজয়রামপুর-তালতলা এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের পুত্র বিল্ডিংএর কন্ট্রাকটর নজরুল ইসলাম জানান, বাড়ির দরজা ভেঙ্গে তার জামাতার ৩০ হাজার টাকা মূল্যের দুটি মোবাইল ফোন লুট করা হয়। এছাড়া কিছু সময়ের ব্যবধানে তার বোন শাহিনুর খাতুনের গলায় রামদা ঠেকিয়ে জিম্মি করে নগদ ২০ হাজার টাকা ও স্বর্ণের আংটি এবং দু’টি কানের দুল লুট করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম দাবী করেন, ঘটনার সময় তাদের বাড়িতে লুটপাটকারীদের মধ্যে তার বোন শাহিনুর খাতুন স্থানীয় ইবাদুল নামে একজনকে চিনতে পেরেছে। তবে ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পারছে না।
এর কয়েকদিন আগে একই গ্রামে রাইচ মিলের মিস্ত্রি নজরুলের বাড়িতে লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সবুজ, মিলন ও ইবাদুলের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করা হয়। ওই ঘটনায় থানার এস আই খান আব্দুর রহমান সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে চোর সিন্ডিকেটের হোতা মিলনকে আটক করেছে। এ চক্রের বাকী অপরাধীদের এখনও পুলিশ আটক করতে পারেনি। সে কারণে জনগন জান-মাল রক্ষায় নানা আতংক মাথায় নিয়ে স্থানীয় গ্রামবাসী রাত জেগে বাড়ি পাহারা দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ এ সব দাগী অপরাধীদের ধরতে প্রতিনিয়ত অভিযান চালাচ্ছে। তাদের খোঁজা হলেও তাদেরকে পাওয়া যাচ্ছে না।