
কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবের তথ্যমতে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার কুমারখলী পৌর মেয়রসহ ৭৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রকাশিত ফলাফলে সংগৃহীত ২১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭৭টি নমুনার কভিড-১৯ বা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয় বলে নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন।
কুমরখালী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন জানান, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যমতে, কুমারখালী উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৩৭ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গত ২৯ জুলাই সংগৃহীত নমুনা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা শেষে রবিবার রাতে প্রাপ্ত ফলাফলে পৌর মেয়র শামসুজ্জামান অরুনসহ (৬২) ১৬ জনের নমুনার ফলাফল পজিটিভ এসেছে।
আক্রান্তদের সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, পৌর মেয়রের করোনা পজিটিভের মধ্য দিয়ে তার পরিবারে এখন পর্যন্ত গৃহকর্মীসহ ৭জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য সুলতানা তরুনের ছেলে মেয়রের ভাইপো গোলাম জিলানী নজরে মোর্শেদ পিটার ঢাকাস্থ স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেন এই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
রবিবার রাতে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সর্বশেষ সময় পর্যন্ত জেলার ছয়টি উপজেলা থেকে সংগৃহীত ১০ হাজার ২০৮টি নমুনা কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করে ১ হাজার ৬৭১ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে যার মধ্যে ১১৪৫ জন সুস্থ হয়েছেন, ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৪৯২ জনকে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, জেলার ৬টি উপজেলায় কভিড-১৯ বা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে কুষ্টিয়া সদর-৯৬৮, কুমারখালী-২৩৭, খোকসা-৫৭, ভেড়ামারা-১১৬, দৌলতপুর-১৯৫ এবং মিরপুরে-৯৫ জন।