
যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর পয়েন্টে গত ২দিন সামান্য বৃদ্ধি পেলেও আজ মঙ্গলবার সকালে ৯ সেন্টিমিটার কমেছে। তবে এখনও বিপদসীমার ৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে সিরাজগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে জেলার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ।
দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। সংকট দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবারের।
এ ছাড়া এনায়েতপুর-ভেড়াখোলা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিতরা তাদের গরু-ছাগল নিয়ে এক ঝুপড়িতে বাস করছেন ও মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এদের অধিকাংশরই অভিযোগ তারা এখনও কোনো ত্রাণ সহযোগিতা পায়নি। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে তারা অতিকষ্টে দিন পার করছেন।
আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর বাসিন্দারা জানান, তাদের ঘরে খাবার নেই। অনেকের চুলা জ্বলে না। তারপরেও কেউ তাদের খোঁজখবর নেয় না। ফলে দীর্ঘ বন্যায় তাদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহিম বলেন, যমুনায় চলতি বন্যায় জেলার সাত উপজেলার ৬৪টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের এক লাখ ১৮ হাজার পরিবারের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
এসব বন্যার্তদের মাঝে ৫৬৩.৫ মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার ৮৯০ প্যাকেট শুকনো খাবার ছাড়াও নগদ আট লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বরাদ্দের বেশিরভাগ বিতরণ করা হয়েছে। বাকি বরাদ্দ বিতরণ চলছে।