
যশোরের মণিরামপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন বন্ধ করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান। শুক্রবার রাতে নেহালপুর গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গোপনে বিয়ের কাজ সম্পাদনের আয়োজন চলছিল। ইউএনও স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করে দেন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসের ক্রেডিট সুপারভাইজার শহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটি কালিবাড়ি শাহিদা সুলতানা বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। করোনাকালীন লকডাউনের কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে মেয়েটির পিতা একই উপজেলার জুড়ানপুর গ্রামের ইনামুল ইসলাম নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেন। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এমনকী সন্ধ্যায় বরপক্ষ ওই বাড়িতে আসেন।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের আগেই ইউএনও স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে স্যারেন নির্দেশে আমি, স্থানীয় মেম্বর আজগার আলীসহ দু’গ্রাম পুলিশ ওই বাড়িতে যাই। ওই বাড়িতে যাওয়ার পর আমাদের দেখে বরপক্ষ সটকে পড়েন। এসময় আমরা উপস্থিত থেকে বিয়ের সকল আয়োজন বন্ধ করি। পরে ইউএনও স্যারের কাছে মুচলেকা দিয়ে মেয়েটির পিতা রক্ষা পেয়েছেন’।
এব্যাপারে ইউএনও সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘নবম শ্রেণির ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীর বিয়ের কার্যক্রম চলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছি। মেয়েটির পিতা ১৮ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন’।