
কাজীপাড়ার যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ হত্যা মামলার চার্জশিটে ‘কলেজ পড়ুয়া নির্দোষ’ ছেলের নাম ঢুিকয়ে দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন তার বাবা-মা। ৯ জুলাই যশোর জেলা প্রশাসকের কাছে এর প্রতিকার ও মামলাটির যথযথ ও পূন:তদন্ত দাবি করে আবেদন করেছেন তারা।
লিখিত আবেদনে যশোরের খোলাডাঙ্গা ধর্মতলার মফিজ পাড়ার কলিম হোসেন (৪৫) ও তার স্ত্রী মনিরা বেগম (৩৫) দাবি করেছেন, তাদের ছেলে ইসতিয়াক আলী টিপু যশোর ভকেশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ঝুমঝুমপুর থেকে এসএসসি পাশ করে। পরে সে বাবার সাথে নার্সারি ব্যবসা দেখাশুনা করছিল। এর মধ্যে গত ২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে যশোরের পুরাতন কসবা কাজী পাড়ার মৃত সিদ্দিক হোসেনের ছেলে যুবলীগ কর্মী সোহাগকে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্র হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই সোমরাজ একটি চক্রের কু-মন্ত্রণায় তাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলে টিপুর নাম জড়িয়ে মামলা করেন। এলাকার দাগী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সাথে ছাত্রের নাম জড়িয়ে তাকে মাসের পর মাস হয়রানী করাতে থাকেন। এক পর্যায়ে এলাকার কুচক্রি মহলের ইন্ধনে ডিবি পুলিশ খুঁজতে থাকে ছাত্র টিপুকে। এরপর তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল টিপুকে আদালতে আত্মসমর্পন করান। দুঃখজনক হলেও সত্য তদন্ত টিম তাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলের নামও চার্জশিটে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তার ছেলে এখনো জেলহাজতে আছে। তারা খুনের অভিযোগ থেকে টিপুকে মুক্ত করতে আবারো তদন্ত দাবি করেছেন। তারা জুডিশিয়াল তদন্ত করে কলেজ ছাত্র টিপুর ব্যাপারে ন্যায় বিচার চেয়েছেন। একইসাথে সোহাগের প্রকৃত খুনীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
এদিকে, টিপুর আইনজীবী দাবি করেছেন, চার্জশিটে টিপুকে পলাতক দেখানো হয়েছে, যা আদৌ সত্য নয়। সে আত্মসমর্পন করে জেল হাজতে রয়েছে।