
জরুলী
কাজে এট্টু রাজশাহী যাব। একা কিরাম কইরে যায়, বিলে এক ভাইপোরে সাতে নিলাম।
ধম্মতলাত্তে বাসে চড়ি। ওকেনে তরু চাচা আচে উটতি লাবদি এট্টু হেল কইরে দেয়।
সেদিনও তারে মুবাল কইরে কলাম রাজশাহী যাব দুটো টিকিট ঠিক কইরে দেও। সে কলে
চাচা টিকিট দুডো হলি একন আর চড়া যাবেন্না। কাটতি হবে চাড্ডে, ইডায় একন
নিয়ম। টাকা লাগবে বারোশ। তাতেই অগ্যতা রাজি হলাম। কলে বেলা বারোডায়
মেট্টপলিটন নামের ডাইরেট বাস রাজশাহী যায়। ঐ বাসে চড়তি হলি পৌনে বারোডার
মদ্দি ধম্মতলায় হাজির থাকতি হবে। তার কতা মত আরো আরো দশ মিনিট মানে এগারডা
পয়ত্রিশি ধম্মতলায় যাইয়ে শুনতি পালাম বাস সাড়ে এগারডায় চইলে গেচে। পয়লায়
গেলাম ছ্যাক খাইয়ে। সারা জীবন জানি যে সুমায় দিয়া থাকে বাস তার পরে আসে,
আগে চইলে যায় জানা ছিলোনা।
ভাগ্যেস বাসে চইড়ে টিকিটির দাম দেব কইয়ে
কাটিলাম বিলে বারোশ বাইচে গ্যালো। ভাইপো কলে, চাচা তালি যাব কিরাম কইরে।
তরু চাচা কলে দেড্ডায় অনিক নামের আরাট্টা বাস আচে সিডায় চালি যাতি পার। কনে
এগারডা পয়ত্রিশ আর কনে দেড্ডা। বুদ্দি কইরে পালবাড়ি আইগোয় গিলাম যদি
কোনোডায় গতি হয়। বহুত গ্যাজাগাজির পর সুহাগ নামের এট্টা বাসের চাড্ডে টিকিট
নিলাম আটশ’ টাকায়। বাসটা পাবনা যাবে, আমাগের দুজনের দাশুড়ে মোড়ে উলায় দিয়ে
যাবে। স্যানতে আবার কাটা বাসে রাজশাহী যাতি হবে। টিকিট কাইটে ঘন্টা খানেক
কাউন্টারে বইসে থাকার পর বাস আইসলো। চড়তি যাইয়ে দেকি, আমাগের কাটা চাড্ডে
সিটি চারজন মচ্চি মুলামে বইসে আছে। সুপারভাইজানের কাচে জানতি চালাম
ফ্যারাডা কি, সে সাফ কইয়ে দেলে উরা মালিক পক্কের লোক। একদম পিচনের আড়াআড়ি
সিটি আমাগের দুইজনরে বসতি দিতি পারবে এর বেশী তার কিচু করার নেই। কতা শুইনে
আকাটা মাইরে গিলাম, কলাম ইডা কিন্তুক কাজাকাজির জাগা না, আমারে কলাম মুক
খুলায়ে না। টাকা দিয়ে দুডোর বদলি চারড্ডে সিট নিয়ে গাদাগাদি কইরে পিচনের
আড়ের সিটি কেন বসপো? সুজা কতা কইয়ে দেলে বাসেত্তে উইলে কতা কন সুমায় শট।
মনের দুক্কি উইলেই গিলাম।
সামাজিক দূরত্বের কতা কইয়ে গণপরিবহনে দেড়ি
টাকা আদায় কচ্চে! কিন্তু সেই নিয়ম কি বাসের মদ্দি থাকচে? সবই চলচে আগের
মতোন, শুদু ভাড়া পিরায় ডবল। অবস্তাডি কি! আলাম কনে, মলাম যে!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩