
যশোরের দুঃখ নামে পরিচিত ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতার কারনে প্রায় দুই হাজার মৎস্য ঘের ও পুকুর ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ভেসে যাওয়ার ভয়ে ঘের মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মণিরামপুর ও অভয়নগর মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের দাবী, ভবদহ অঞ্চলের মণিরামপুরে এক হাজার ও অভয়নগরের ৯শ টি ছোট বড় ঘের ও পুকুর ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। তবে এখনও এর সম্পন্ন সঠিক তালিকা করা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা যায়, ভবদহ অঞ্চলের মণিরামপুরের হরিদাসকাটি, ঢাকুরিয়া, দূর্বাডাঙ্গা, কুলটিয়া, নেহালপুর ও মনোহরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামেরসহ পোড়াডাঙ্গা, মশিয়াহাটি, হাটগাছা, আলীপুর লখাইডাঙ্গা, আলীপুর ও অভয়নগরের সুন্দলী, ডহরমশিয়াহাটী, বেদভিটা, ডুমুরতলা গ্রামে ও বিল গুলোতে অবস্থিত এসব ঘের ও পুকুর ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। মালিকরা ভেসে যাওয়ার ভয়ে নেট ও বেড়া তৈরি করে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এমনকি ঘের মালিক ডবল করে নেট দিয়েও মাছ রাখা যাচ্ছে না। তারপর দীর্ঘ দিন পানিতে নেট থাকায় তা নষ্ট হয়ে মাছ বাইরে চলে যাচ্ছে বলে তারা জানান।
এ ব্যাপারে মশিয়াহাটী অঞ্চলের ঘের মলিক শংকর রায় জানান, ‘আমার দুই শত বিঘের ঘের নেট-পাটা দিয়ে বেড়া দিয়েছি। কিন্ত এতে শেষ রক্ষা হচ্ছে না। পোড়াডাঙ্গা অঞ্চলের ঘের মলিক সোমনাথ দত্ত জানায়, আমার ৩টি ঘেরই প্রায় ডুবে যাওয়ার অবস্থা।
মণিরামপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কুমার ঘোষ বলেন, ভবদহ অঞ্চলে ১ হাজার ঘেরের অধিকাংশ ঘের ভেসে যাওয়ার ঝুঁকিপূর্ন। তবে এর কোন সঠিক হিসাব এখনও সম্পন্ন হয়নি।
অভয়নগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফারুক হোসেইন সাগর বলেন, ‘উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কোন তালিকা না চাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘেরের তালিকা তৈরি করা হয়নি। তবে ৪৪শ’ ঘেরের মধ্যে প্রায়২০ শতাংশ ঘের ঝুকিপূর্ন।