
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু। দ্রæতই এ অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর করা হবে। অপরদিকে, করোনায় সেবা দিতে গিয়ে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ৪৫ লাখ টাকা দেনা হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত জেলা করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কমিটির সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় কমিটির সভাপতি ও যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়ক দিলীপ কুমার রায়, সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল ইসলাম, এনএসআইয়ের উপপরিচালক কবির আহম্মদ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মীর আবু মাউদ।
সভায় হাসপাতালের সুপার জানান, করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সংশ্লিষ্টদের পিছনে এ পর্যন্ত যে খরচ হয়েছে তার মধ্যে ৪৫ লাখ টাকা দেনা রয়েছেন তারা। হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা হবে। যার কাজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে।
অবৈধ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধের অভিযানে বাধা আসলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায় না বলে সভায় জানান সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন। এ ধরনের অভিযানে স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করেন জেলা প্রশাসক।
এছাড়া, নো মাস্ক নো এন্ট্রির বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে সভায় জানানো হয়।
কমিটির সদস্য সচিব ও যশোরের সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহিন বলেন, করোনা চিকিৎসায় জেলা কমিটি ছাড়াও স্থানীয় প্রশাসনের যৌথভাবে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের নির্দেশনা মতে অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ করার অভিযান চলমান রয়েছে। অভিযানে বিভিন্ন বাধা আসলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন সাহয্য পাওয়া যায় না বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেন, যশোরে করোনা চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে জেলার আইনশৃখলা বাহিনীদের নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করা হবে। যশোরের অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধের জন্য জেলা স্বাস্থ্যবিভাগ ও জেলা প্রশাসন যৌথভাবে কাজ করবে। দ্রæতই অবৈধসকল ক্লিনিক-ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হবে বলে জানান তিনি। শুধু বন্ধ না প্রয়োজনে এসকল অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনোস্টিক সেন্টারদের জেল-জরিমানা দেওয়া হবে।