
অভয়নগরে এক মিনিটের ঘুর্নিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তিন গ্রাম। ভেঙ্গে পড়েছে হাজার হাজার গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শতশত ঘরবাড়ি। ছিড়েছে বিদ্যুতের তার, বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।
রবিবার সকালে বর্জ্রপাত সহ শুরু হয় প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টির শেষ পর্যায়ে দমকা হাওয়া বয়তে শুরু করে। এক পর্যায়ে দমকা হাওয়া ঘুর্নিঝড়ে রূপ নিয়ে উপজেলার তিনটি গ্রাম মোয়াল্লেমতলা, অভয়নগর ও ভাটপাড়া উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এসময় ঘুর্নিঝড়ে ওই তিন গ্রামের হাজার হাজার ফলজ-বনজ ও ঔষধী গাছ ভেঙ্গে পড়ে। তার ছিড়ে পড়ায় বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ।
সরেজমিনে মোয়াল্লেমতলা, অভয়নগর ও ভাটপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ঘুর্নিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা তাদের বাড়ি ও রাস্তা থেকে ভেঙ্গে পড়া গাছ ও ডাল অপসারণের কাজ করছে। ঘরের উড়ে যাওয়া চাল মেরামত করছে। বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া আসবাবপত্র, কাপড়, পাঠ্যবই ও নিত্যপ্রয়োজনিয় সামগ্রী রোদে শুকাচ্ছে।


ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ অভয়নগর গ্রামের আশিক মোল্যা জানান, সকালে প্রায় এক মিনিট স্থায়ী ঘুর্নিঝড়ে আমার সবতবাড়ির ঘরের চাল উড়ে গেছে। ভেঙ্গে পড়েছে বেশ কয়েকটি ফলের গাছ। উপড়ে গেছে বাঁশ ঝাড়। ভিজে গেছে ঘরের আসবাবপত্র, কাপড় ও বইখাতা।
ভাটপাড়া গ্রামের খায়ের আলী জানান, ঝড়ের তা-বে আমার শতশত ফলজ ও বনজ গাছ ভেঙ্গে গেছে। উড়ে গেছে ঘরের টিন। খোলা আকাশের নিচে পরিবার নিয়ে আছি।
মোয়াল্লেমতলা গ্রামের হাজী মিজানুর রহমান জানান, চোখের পলকে সবকিছু ল-ভ- হয়ে গেছে। ঝড়ের তীব্রতায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ

সরবরাহ।

এ ব্যাপারে উপজেলার বাঘুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার বলেন, ঘুর্নিঝড়ে আমার ইউনিয়নের ভাটপাড়া ও অভয়নগর গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সরকারি সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবগত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শরিফ আহম্মেদ রুবেল জানান, ঘুর্নিঝড়ের বিষয়টি জানতে পেরেছি। ক্ষয়ক্ষতি ও ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।