
মণিরামপুরে সুরাইয়া পারভীন সাথী নামে এক কলেজছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগে চার জনের নামে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে সাথীর পিতা সার ব্যবসায়ী রেজাউল করিম এ মামলাটি করেন। মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ সাথীকে উদ্ধারসহ কাউকে আটক করতে পারেনি।
মামলার বাদী উপজেলার হাজরাকাঠি বেলতলা গ্রামের সার ব্যবসায়ী রেজাউল করিম জানান, তার মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী সুরাইয়া পারভীন সাথী শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দর্জির কাছ থেকে জামা-কাপড় নিয়ে বাড়ি আসছিল। পথিমধ্যে হাজরাকাঠি এলাকার নিউ ব্রিকসের মালিক মহিদুল ইসলাম তার অপর তিন সহযোগী সিয়াম হোসেন, আবদুল কাদের এবং আশরাফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে সাথীকে জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অপহরন করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করেও কোন সন্ধ্যান না পাওয়ায় সোমবার রাতে সাথীর পিতা বাদি হয়ে হাজরাকাঠি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে নিউ ব্রিকসের মালিক মহিদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামের ছেলে সিয়াম হোসেন, জুম্মত আলী সানার ছেলে আবদুল কাদের ও মোস্তফা হোসেনের ছেলে আশরাফুল ইসলামের নামে অপহরন মামলা করেন। যার মামলা নং-১৩। তবে এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম জানান, মহিদুলের সাথে সাথীর দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। সাথীর অভিভাবকরা মহিদুলের সাথে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় ওরা দুজনে পালিয়েছে। অন্যদিকে সাথীর পিতা রেজাউল করিম জানান, তার মেয়ের সাথে মহিদুলের ইতিপূর্বে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বর্তমান সাথী তাকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় মহিদুল অপহরন করে নিয়ে গেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জিয়াউল হক জানান, আমি এখন সাথীকে উদ্ধার ও আসামীদের আটকের অভিযানে আছি।
মণিরামপুর থানার ওসি (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমান জানান, চারজনের বিরুদ্ধে অপহরন মামলার হয়েছে। সাথীকে উদ্ধারসহ আসমিদের আটকের চেষ্টা চলছে।