
সোমবার দিবাগত রাতে মহেশপুর সীমান্তে মানবপাচারের সময় ৪ দালাল আটক ও ৫ ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে শ্যামকুড় বিওপি।
থানা ও বিজিবি সূত্রে প্রকাশ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গাজীপুর ও নড়াইল থেকে ভাল চাকুরী দেওয়ার নাম করে ভারতে পাচারের সময় শ্যামকুড় বিওপির নায়েব সুবেদার মকবুলের নেতৃত্বে টহল দল ৪ দালালকে হাতেনাতে আটক করে এবং ৫ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মহেশপুর থানায় মানবপাচার আইনে মামলা করে। যার নং-৩৯ তারিখ-২১/৯/২০ইং।
আটককৃতরা হলো-১) মহেশপুর উপজেলার পাতিবিলা গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে কিতাব আলী(৪২), ২) বাঘাডাঙ্গা গ্রামের হায়দার খলিফার ছেলে মাজেদুল খলিফা, ৩) লতিফ মন্ডলের ছেলে ফারুক হোসেন(৩৮) ও ৪) মাইলবাড়িয়া গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে সুমন দর্জি(৩২)। এই মামলায় পলাতক আসামীরা হলেন- শ্রাামকুড় গ্রামের করিম খন্দকারের ছেলে খসু(৩৫), খসবারীর ছেলে রাজিব(৩০), ইউসুফ আলীর ছেলে জামাল(২৫), বাবুল মীরের ছেলে জাবেদ(৩০), সেজিয়া আমিননগরের আবুল হোসেনের ছেলে নাসির উদ্দিন বাদল(৫১) সহ অজ্ঞাত ২/৩জন।
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, আসামীরা ভিকটিমদের কে মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে ভারতে পাচার করছিল। এ সময় তারা বিজিবির হাতে আটক হয়। পলাতক আসামীদের কে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল কামরুল আহসান জানান, মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট মানবপাচার করে আসছে তারই একটি গ্রুপ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাইলবাড়িয়া টাঙ্গাইলপাড়া থেকে ৪জনকে আটক করা হয় এবং ৬/৭ জন পালিয়ে যায়। অসৎ উদ্দেশ্যে এদেরকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার ২৭ বছরের এক নারী এ প্রতিবেদককে জানায়, গাজীপুর চৌরাস্তার এক ছেলে তার নামে পাসপোর্ট বানিয়ে তাকে ভারতে নিয়ে ইউরোপ কান্ট্রিতে পাঠানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। সে আরো জানায়, ঐ দালালের সাথে তার মোবাইলে কথা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে বিকাশে টাকা লেনদেন হয়েছে। মহেশপুর সীমান্তে দালালদের সাথে সে মোবাইলে যোগাযোগ করে দিয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস.আই জলিলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ভিকটিমদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে নেওয়া হচ্ছে। আসামীদের ৭দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে।