
দুইরুগী গেচে এক ডাক্তারের কাচে। দ্ইুজনেরই প্যাটে ব্যাতা। পেত্তম রুগী দেকার সুমায় ডাক্তার সাহেব শুনতেচে, সমিস্যা কি? রুগী কচ্চে আর কবেন না ডাক্তার সাহেব। কাল রাত্তিরি বাড়িতি এট্টা উসসব ছিলো। এত হরকোলি খাবার দাবার রান্দা হইলো, লোভের চোটে কোনোডায় জিবেয় দিতি বাদ দিই নি। গলা পন্তিক খাইয়ে শুইয়ে পড়িলাম। শেষ রাত্তিরিত্তে হ্যামন প্যাটব্যাতা ইস্টাট দেচে থামার নাম নেই। ওষুদ পানি দিয়ে আমারে বাচান। ডাক্তার তারে ভালো কইরে দেকে শুইনে ওষুদ লিকে দেচে। সেই লোক চইলে গেচে। পরের রুগী ঘরে ঢুকলি বসতি কইয়ে ডাক্তার কচ্চে আপনার সমিস্যা কি? রুগী কচ্চে কাল রাত্তিরি অভাবের জালায় কিচু খাতি পারিনি। না খাইয়েই শুয়ে পড়িলাম। শেষ রাত্তিরিত্তে হ্যামন প্যাটব্যাতা ইস্টাট দেচে থামার নাম নেই। ওষুদ পানি দিয়ে আমারে বাচান। ডাক্তার সাহেব তারেও ওষুদ লিকে দিয়ে কচ্চে আহারে একজনের দেড়ি খাইয়ে প্যাটব্যাতা, আরাকজনের না খাইয়ে প্যাটব্যাতা। খাওয়াডা যদি দুইজনে ভাগ কইরে খাইতো তালি কারোরি আজ আমার কাচে আসতি হইতো না।
বিয়ান বেলায় যকন কাজে বেরোই তকন এট্টা জিনুস চোকি পড়ে। জানিনে আমার মতোন ইরাম অনুভূতি আর কারো হয় কিনা। একদল লোক বিয়ানবেলা বেশি খাইয়ে ভুড়ি কুমানোর জন্যি দৌড়োয়। আরাক দল দৌড়োয় দুমুটো ভাত জুগাড় করার জন্যি। একই রাস্তায় দৌড়োনো, কিন্তু উদ্দেশ্য দুডো।
পিপারে এট্টা খবর পইড়ে এই সব কতা ফেত্তে মনে পইড়ে গ্যালো। জাতিসংঘের খাইদ্য ও কৃষি বিষয়ক সংস্থার পোতিবেদন অনুযায়ী, সারা পৃতিবিতি কমের পক্কে ৮২ কোটি মানুস রাত্তিরি না খাইয়েই ঘুমোতি যায়। আরাক দিকি পৃতিবির পিরায় ২০০ কোটি মানুস দেড়ি খাওয়া খাইয়ে ভুড়েল হইয়ে যাচ্চে। আবার পৃতিবিতি ৮২ কোটি মানুস য্যানে একবেলা খাতিই পায় না, স্যানে সারা পৃতিবিতি পেত্তেক বচর অন্তত ২২ কোটি ২০ লাখ টন খাবার নষ্ট বা অপচয় করা হয়। বিষয়ডা ভাবদি গেলিও চোকি পানি চইলে আসে।
অনেকে আদ্দেক খাইয়ে আদ্দেক ফেলায় দিয়াডা বড়লোকি চাইল মনে করে। ফসল যারা ফলায় তারা জানে মানসির পেলেট পন্তিক খাবারডা আনতি কত্ত মেহনত কত্তি হয়। নষ্ট করা খাওয়াডাই টুকানোর আশায় কতজন আশায় তাগায় থাকে। মানুস যদি এট্টু হিসেব কইরে চলে তালি কিন্তুক স¹লি মিলে ভালো থাকা যায়। ইডা কি খুব কঠিন কোন কাজ ?
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩