
গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর মহেশপুর পৌরসভার নির্বাচন সম্পন্ন হয়। নিয়মানুযায়ী এ বছরের ডিসেম্বর মাসে এ পৌরসভার মেয়াদ শেষ হবে। এখনো তফসিল ঘোষণা হয়নি। তবে ইতিমধ্যে মহেশপুরে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে-ময়দানে আগাম প্রচারে সরব হয়ে উঠেছেন। অনেকেই ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময়,উঠান বৈঠক ও গনসংযোগ শুরু করছেন। সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে হাজির হচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোটারদের কাছে নিজেদের তুলে ধরার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। এটি হবে এ পৌরসভার ২৫তম মেয়র।
১৮৬৯ সালে এ পৌরসভা স্থাপিত হয়। প্রথম দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ামন হন পি বি মার্টিন। তিনি ১৮৬৯ থেকে ১৮৮০ সাল পর্যন্ত ১১ বছর দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ মেয়র হিসেবে দায়িত্বে আছেন আব্দুর রশিদ খান। ইতিপর্বে তার দাদা, চাচা এবং চাচাতো ভাই চেয়ারম্যান ও মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সবচেয়ে বেশি তোড়জোড় চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলের মধ্যে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মেয়র পদে ৪ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী মাঠে নেমেছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান মেয়র আব্দুর রশিদ খাঁন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর সুলতানুজ্জামান লিটন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কুন্ডু ও সাধারন সম্পাদক এসএম এনামুল হক বুলু(তার বাবা ১৯৬৫-১৯৭১ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন)।
মনোনয়ন পেতে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরাও গোপনে চালাচ্ছেন তোড়জোড়। বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রাার্থীরা হলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এসএম শাহাজামান মোহন, সাবেক মেয়র আমিরুল ইসলাম খান চুন্নু ও নজীবুদৌলা।
জাতীয় পাটি থেকে ২জন দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্ভাব্য জাতীয়পার্টির প্রার্থীরা হলেন, মহেশপুর পৌর জাতীয় পাটির সভাপতি আব্দুল কাদের আলম এবং উপজেলা জাতীয়পার্টির সহ-সভাপতি লোকমান হোসেন পাটুয়ারী। সম্ভাব্য এ সকল প্রার্থীরা দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে যার যার অবস্থান তুলে ধরছেন। এছাড়াও জামায়াতের ২জনের নাম শোনা যাচ্ছে এরা হলেন, শহিদুল ইসলাম বিশ্বাস ও ইসমাইল হোসেন পলাশ।
সম্ভাব্য মেয়র, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা করোনা পরিস্থিতির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় এবং খোঁজ খবর নিচ্ছেন। মহামারি করোনাকালীন সময় কেউ কেউ বাড়ি বাড়ি গিয়ে উপকরনও বিতরণ করছেন। পৌরসভার বিভিন্ন চায়ের দোকানে আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা ধরণের আলোচনা করছেন সাধারন মানুষ।