যশোর খুলনা মহাসড়কে রাজারহাট বাজার। দেশের অন্যতম বৃহৎ চামড়ার হাটের বিপরীত দিকে শ খানেক গজ সামনে এগিয়ে গেলেই চোখে পড়বে ভৈরব নদের উপর সাধারণ গোছের একটি সেতু। সাধারণ মনে হলেও এই সেতুটিই যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর, কচুয়া আর রামনগর মিলে তিনটি ইউনিয়নের ৪৪ টি গ্রামের মানুষকে বেঁধেছে এক সুতোয়। প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে হাজার হাজার মানুষসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যবাহী যানবাহন। প্রায় চারযুগ ধরে মানুষ আর যানবাহনের ভার বইতে বইতে জরাজীর্ণ দশা সেতুটির। বছর পাচেক আগে সেতুর মূল পিলারে ফাটল ধরে। বসে যায় একাংশ। সেই সাথে রাজারহাট অংশের সংযোগ সড়কও পড়েছিল ভাঙ্গনের মুখে। স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে বাঁশের পাইলিং আর মাটি ভরাট করে আপাতত ঠেকানো হয় ভাঙ্গন। সেটিও প্রায় দুই বছরের বেশী হতে চলেছে।
স্থানীয় সরকার ও প্রকেশল বিভাগ বহুদিন ধরে বলে আসছে নির্মাণ কাজ অচিরেই শুরু হবে কিন্তু বাস্তবে তার কোন চিত্র দেখতে পাচ্ছেনা সাধারণ মানুষ। জীবনের তাগিদে তাই ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে তাদের।
ভৈরব নদ খননের সময় সেতুটি আরো ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। তার সাথে যুক্ত হয় অতি বর্ষণ। দুয়ে মিলে সেতুটির অবকাঠামো রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে। আশু সংস্কার না হলে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের কোন দূর্ঘটনা এমন শংকা ভর করেছে এলাকাবাসীর মনে।
শুধু আশ্বাসের ফুলঝুরিতে বিশ্বাস রাখতে পারছেন না স্থানীয়রা। তাদের দাবি দৃশ্যমান হোক সেতু সংষ্কারের কাজ যাতে তাদের দৈনন্দিন চলাচল নিরাপদ হয়।