
যুবলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম সোহাগ হত্যার দ্বিতীয় বার্ষিকী আজ। মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামিদের মধ্যে ৪ জন আসামি আটক এড়িয়ে চলছে। তারা আটক না হওয়ায় নিহতের পরিবারের হতাশা উৎকন্ঠা কাটছে না। হত্যাকান্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
দ্বিতীয় হত্যাবার্ষিকীতে আজ পরিবারের আয়োজনে নিহতের স্মরণে মিলাদ, দোয়া ও কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১টার দিকে কাজীপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার হাবিবুর রহমান ও আবু সেলিমের বাড়ির সামনে ফেলে খুন করা হয় মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে যুবলীগ কর্মী সোহাগকে। শহর থেকে বাড়ি ফেরার সময় এলাকার চিহ্নিত একটি দুর্বৃত্ত চক্র গলা কেটে হত্যা করে তাকে। এ ঘটনায় ২৯ সেপ্টেম্বর বড় ভাই যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার ফেরদাউস হোসেন সোমরাজ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন। এর মধ্যে খোলাডাঙ্গার হাফিজুর রহমানের ছেলে তাইজেল বন্দুক যুদ্ধে প্রতিপক্ষের হাতে নিহত হয়। অপর দু’আসামি পুরাতনকসবার আবুল কাসেম পিকুলের ছেলে সাগর ও ধর্মতলার কালিম উদ্দিনের ছেলে টিপু আদালতে আত্মসমর্পণ করে। পরে আটক হয় আব্দুল বারেকের ছেলে আল আমিন। এছাড়া তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি ওসি মারুফ আহমেদ তথ্য পান এজাহারের বাইরেও আকাশ নামে একজন ও আরো অজ্ঞাত কয়েকজন ঘটনায় জড়িত। ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর বিকেলে টাঙ্গাইল থেকে আটক করা হয় আকাশকে। সে কাজীপাড়া আমতলা মোড়ের টুকু বাবুর ছেলে।
আকাশ হত্যাকান্ড সম্পর্কে ওই সময় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়। উল্লেখিত ১০ আসামি ও আরো একজনকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মারুফ আহম্মদ চার্জশিট দাখিল করেন। কিন্তু চার্জশিটভূক্ত ৪ আসামি এখনও আটক এড়িয়ে চলছে। মামলা বাদী ফেরদাউস হোসেন সোমরাজ খুনীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন। তিনিসহ তার পরিবার শঙ্কায় আছেন বলেও জানান তিনি।