
করোনা কেড়ে নিল যশোর শহরের পরিচিত মুখ মাফরোজ আলম পপলুকে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আজ ভোরে রওনা দিয়ে ঢাকা থেকে পপলুর (৫৩) লাশ শহরের ষষ্টিতলার বাড়িতে এসে পৌঁছানোর কথা। এশার নামাজের পর পিটিআই জামে মসজিদে নামাজে জানাজা শেষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফন করা হবে।
মাফরোজ আলম পপলু ষষ্টিতলার বসন্ত কুমার রোডের মৃত অ্যাডভোকেট এরশাদ আলীর ছেলে। ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মৈত্রীর নেতা ছিলেন। পেশাগত জীবনে কাজী ফুড ও ব্র্যাক ফুডের চিফ মার্কেটিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরি ছেড়ে নিজে একটি ব্যবসা দাঁড় করানোর চেষ্টা করছিলেন।
পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, মাফরোজ আলম পপলু প্রায় ১৫ দিন আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি প্রায় দশদিন লাইভ সাপোর্টে ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিক তিনি মারা যান।
স্ত্রী এবং ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া এক কন্যা সন্তান রয়েছে পপলুর।
এদিকে মাফরোজ আলম পপলুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের যশোর জেলা সম্পাদক তসলিম উর রহমান, জেলা নেতা কামাল হাসান পলাশ, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় সহসভাপতি পলাশ বিশ্বাস, যশোর জেলা সভাপতি কৌশিক রায়, সাধারণ সম্পাদক রায়হান বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষক ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা সভাপতি আলতাপ চাকলাদার, সহসাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান পিল্টু এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক মুক্তি ও রেজাউল হক রিজু।