
রাজশাহীর তানোরে একটি গীর্জায় তিনদিন আটকে রেখে এক আদিবাসী (১৫) তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত গির্জাটির ফাদার প্রদীপ গ্যা গরীর (৫০)কে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টায় নগরীর বিশপ হাউজ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে তানোর থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
র্যাব-৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এটিএম মাইনুল হোসেন জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের পর তানোর থানা পুলিশের হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার জানায়, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ি থেকে মাঠে ঘাস কাটতে গিয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি মেয়েটি। সারাদিন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর তানোর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি জিডি করা হয়। জিডি করার পর পুলিশ গীর্জা থেকে বন্দি অবস্থায় কিশোরীটিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে।
এদিকে বিষয়টি মীমাংসার জন্য সোমবারে দুপুরে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান মাইকেল হেমরণ ও মহেষ মুরমু ও আদিবাসি নেতা কামেল মার্ডীকে নিয়ে সালিসি বৈঠক বসান।
সালিসি বৈঠকে তরুণীকে ভরণ পোষণের যাবতীয় খরচ বহন করা হবে বলে সবাই ফাদারের পক্ষে রায় দেন।
উল্লেখ্য, ধষণের শিকার আদিবাসী খ্রিস্ট্রান সম্প্রদায়ের ওই কিশোরী গত শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে ওই গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন রোববার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই। এরপর সোমবার দুপুরের পর জানা যায়, নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে বন্দি অবস্থায় আছে। পরে পুলিশ কিশোরীকে উদ্ধার করেন। শালিস বৈঠকের পর থেকে গির্জার অভিযুক্ত ফাদার পলাতক ছিলেন। পরে অভিযুক্তকে রাজশাহী নগরী থেকে গ্রেফতার করেন।