
মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্য চিহ্নিত করতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজশাহী জেলা ও মহানগর পুলিশ। সম্প্রতি আরএমপিতে নতুন পুলিশ কমিশনার ও জেলা পুলিশ সুপার যোগদান করার পর এ প্রক্রিয়ার শুরু হয়। এরই মধ্যে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের ‘ডোপ টেস্ট’ করানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রমতে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাদকাসক্ত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে ডোপ টেস্ট করানো হবে। আরএমপির বিভিন্ন ইউনিটে ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা পুলিশ থেকেও নেওয়া হয়েছে একই উদ্যোগ।
আরএমপি সূত্র জানায়, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশে ডোপ টেস্ট করানোর কাজ শুরু হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। আরএমপি হেডকোয়ার্টার্স থেকে প্রত্যেকটি ইউনিটকে সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত সদস্যদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। গোপনে এই তালিকা তৈরীর কাজ করা হচ্ছে। শুধু ডোপ টেস্ট নয় যে সকল পুলিশ সদস্য মাদক কারবারে জড়িত তাদেরও তালিকা তৈরী হচ্ছে। আর এ তালিকা তৈরী করে কমিশনারের নিকট জমা হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। গত ২২ সেপ্টেম্বর একজন এএসআইকে মাদক সংশ্লিষ্টতার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, দ্রুত ডোপ টেস্ট করানোর কাজ শুরু হবে। তবে আমরা ঢালাও ভাবে টেস্ট করবো না। এতে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে যাবে। তাই কেবল গোয়েন্দা তথ্য ও অভিযোগ পেলেই তাদের টেস্ট করানো হবে।
তিনি আরও বলেন, ডোপ টেস্ট করানোর পাশাপাশি যারা মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করতে কাজ হচ্ছে। তদন্ত শেষ হলেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করা হবে। ইতিমধ্যে আমরা এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
এদিকে, রাজশাহী জেলা পুলিশেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ডোপ টেস্টের। নতুন পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন পুলিশ সদস্যদের টেস্টর উদ্যোগের কথা জানান।
তিনি বলেন, এটি নতুন কিছু না। এর আগেও ডোপ টেস্ট করানো হতো পুলিশের। বর্তমানে রাজশাহী জেলা পুলিশে আমি নতুন যোগদানের পর এখানে ডোপ টেস্ট এর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে এখানকার পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে তাদের মাদকাসক্ত টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ সুপার।