
এট্টা সুমায় ছিলো যকন গিরামে ফিরিজ আসিনি। সে সুমায় জাড় কালডা ছিলো খুব মজার। গরম কালে মা’র রান্দা ভাত রাত্তিরি বাইচে গেলি পানি দিয়ে পান্তা বানাতো। কিন্তুক জাড়ের সুমায় পানি পান্তা অনেকে খাতি চাইতো না। তাই গামলার মুকি থাল বাসন বা সরা দিয়ে ঢেইকে রাইকতো। যারে কওয়া হইতো কড়কড়ো ভাত। বিয়ানবেলা মা কাচা ঝাল আর পিয়েজ কুচোয়ে সেই গামলার ভাত একসাতে মাকায়ে বাসনে ভাগ ভাগ কইরে দিতো। এই ভাতের সাতে ককনো থাইকতো জাড়ে চবরের মতো জমাট বান্দা তরকারির ঝোল। উটোনে ফিড়ে পাইতে রোইদ পিট কইরে সেই ভাত খাওয়ার যে কি সুক ছিলো তা একনকের ছাবাল মাইয়েরা জানবে কনতে।
পুকোরিত্তে ছিপ দিয়ে মারা চল্লা চল্লা পুটি মাছ দিয়ে ভুইর পালং শাক রান্দে রাত্তিরি জমায় রাইকে সে তরকারি দিয়ে বিয়ানবেলা যারা কড়কড়ো ভাত মাকা খাইয়েচে, শুদু তারাই বোজবে এর মর্ম। ইলিশ মাছ শুদু হলদি লবন দিয়ে জাল দিয়ে রাইকতো। সেই জাল দিয়া মাছ খুনতি দিয়ে তেল শুদ্দ তুইলে মাকানো ভাতে খাতি সে যে কি কায়দা, লিকতি যাইয়েই কিরাম যেন গাল চুয়ায় যাওয়ার ভাব হচ্চে! তকন একনকের মতো হ্যাতো লেপ তোষক জাম্পার চাদর মানসির থাইকতো না। জাড় এট্টু বেশী পড়লি একসাথে গোল হইয়ে আগুন তাবানো আর সুক দুকির কতা কওয়ার সেই দিন কনতে কনে হারায় গ্যালো। জাড় জাড় ভাব আসার আগে ভুই’র ধান কাটা হতো। সেই ধানের জালি বাড়ি আনার সুমায় ভুইতি ধানের শীষ কাইটে পইড়তো। কুটি কুটি ছাবাল মাইয়েরা সেই ধানের শীষ কুড়োয় নিয়ে ছুটতো তেমাতার দুকানে। টিনির পানি খাওয়া গিলাসে কইরে এক কাপ ধান দিয়ে নিয়ে আইসতো এক কাপ নতুন ধানের মুড়ি। বিয়ানবেলায় খাজুর গাচেত্তে রসের ভাড় লাবায় আনলি পাটকাটির নল দিয়ে রস খাওয়ার মজা আর পাবো কিনা জানিনে। উটোনে খুচা চুলোয় তাবালে রস জাল দিয়ে গুড় বানানোর পর চোচ ভাঙ্গা দিয়ে তাবালের গুড় কাইকে খাওয়ার স্বাদ জিভেয় লাইগে আচে আজও।
হ্যাতো কতা মনে আসার কারন হচ্চে, সুমকি জাড় আইসতেচে। জাড়ে আমার সিরাম কিচ্চু কত্তি পারে না, শুদু কাপানিতেও এট্টু পাইড়ো কইরে দেই এই যা।
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮৮৭১০০৩