
করোনাভাইরাস এর ভ্যাকসিন এখনও আবিষ্কার না হলেও সেদিকেই তাকিয়ে আছে বিশ্ব। একাধিক দেশ ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টায় নিরলসভাবে কাজ করছে। এরমধ্যে বেশকিছু কোম্পানী ভ্যাকসিন সফলতার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। এটা একদিক, অন্যদিকে ভ্যাকসিন কার আগে কে পাবে, তা নিয়েও চলছে প্রতিযোগিতা।
এই প্রতিযোগিতার ফলে অনেক দেশ যেখানে বিলিয়ন ডলার অগ্রিম বিনিয়োগ করে রাখছে, সেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বেশিরভাগ দেশের চিত্র ভিন্ন। এজন্য করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে আরও শক্তিশালী সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশগুলোকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়ার সাথে সাথেই কার্যকর করার মতো পরিকল্পনার আহ্বান জানিয়েছে।
এ অঞ্চলের দেশগুলোর মতো বাংলাদেশকেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ বার্তা আমলে নিতে হবে। এতে মঙ্গল আমাদেরই হবে। এজন্য ভ্যাকসিন সরবরাহের একটি কার্যকর এবং সমন্বিত কৌশল ও পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। অবশ্য বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ভ্যাকসিন পেলে মানসম্পন্নভাবে সংরক্ষণ ও পরিবহনে দেশের সক্ষমতা কাজে লাগানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। ঢাকা থেকে উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেয়ার প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
করোনাভাইরাস এর ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের এ উদ্যোগ প্রসংশার দাবিদার। তবে এ নিয়ে এখনই আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। নিরলসভাবে যথাযথ কার্যাবলীর মধ্য দিয়ে সফল হতে হবে। সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ নেবেন বলেই আমাদের আশাবাদ।
আমরা বলতে চাই, করোনাভাইরাস এর ভ্যাকসিন যেহেতু এখনও আবিষ্কার হয়নি, তাই সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনও অনেক গাফিলতি দৃশ্যমান। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলেই আমাদের শঙ্কা। ভাইরাস প্রতিরোধে এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং ভ্যাকসিন আসলে তার প্রাপ্তি ও প্রয়োগ নিয়ে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।