
২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে না। জেএসসি ও সমমান এবং এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের গড় করে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে ডিসেম্বরে। অতি সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিং এ তথ্য জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা চলছে। তবে মূল আলোচনা হচ্ছে, এরপর ভর্তির পদ্ধতি নিয়ে।
বলা হয়েছে, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য অনুষ্ঠিত টেস্ট পরীক্ষার ফল গ্রহণ করা হবে না। জেএসসি ও এসএসসি দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের গড় করেই এইচএসসির মূল্যায়ন করা হবে। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার আগে টেস্ট পরীক্ষার মূল্যায়ন নেবো কিনা, পরীক্ষায় যতো ভালো প্রস্তুতি থাকে টেস্টে অত ভালো প্রস্তুতি থাকে না। এই মুহূর্তে টেস্টের ফলাফল নিতে গেলে নানা সমস্যা হতে পারে। আমাদের হাতে তো দুটি পরীক্ষার ফলাফল রয়েছে, সে কারণেই এই দুটি ফলাফলের উপর ভিত্তি করে এই ফলাফল দিতে যাচ্ছি।’ যেসব শিক্ষার্থী গ্রুপ পরিবর্তন করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন তাদের মূল্যায়ন কীভাবে হবে তা নিরূপণে একটি কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ওই কমিটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রতিনিধি থাকবেন। ওই কমিটি মূল্যায়নের পদ্ধতি বের করে মূল্যায়ন করবে। আন্তর্জাতিক মানের মূল্যায়ন ফলো করে বিশেষজ্ঞরা কীভাবে মূল্যায়ন করতে হবে তার সুপারিশ করবেন।
দেশের ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে নিয়মিত পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৭১ জন। অনিয়মিত পরীক্ষার্থী রয়েছেন ২ লাখ ৬৬ হাজার ৫০১ জন। এক বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ১ লাখ ৬০ হাজার ৯২৯ জন, দুই বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ৫৪ হাজার ২২৪ জন এবং সকল বিষয়ে অনুত্তীর্ণ ৫১ হাজার ৩৪৮ জন এবার পরীক্ষার্থী রয়েছেন। নিয়মিত-অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর বাইরে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী রয়েছেন ৩ হাজার ৩৯০ জন। মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থী রয়েছেন ১৬ হাজার ৭২৭ জন। এখন এরা সবাই পাশ। তাহলে সামনে উচ্চশিক্ষায় তাদের ভর্তি কী পদ্ধতিতে হবে এটাই এখন সবার প্রশ্ন।