
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আমন মৌসুমে নতুন প্রজাতের আমন ব্রি ধান ৭৫ এর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতি বিঘায় ৬৬ মন ধান ঘরে তুলছেন কৃষক।
সোমবার দুপুরে পঞ্চকরণ ইউনিয়নের মহিষচরনী গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধান কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপংকর সমাদ্দারসহ স্থানীয় কৃষক।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, পঞ্চকরণ ইউনিয়নের মহিষচরনী গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম হাওলাদার (৩৮) উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী ৩৩ শতক জমিতে নতুন প্রজাতের স্বল্প মেয়াদি জীবনকাল সুগন্ধী আমন ধানের ব্রি ৭৫ চাষাবাদ করেন। এ বীজ রোপনের ৯৫ দিনের মাথায় পাকা ধান কেটে ফসল ঘরে তুলছেন তিনি। প্রতি কাঠা জমিতে দু’ মণ করে ধান, বিঘায় ৬৬ মনেরও বেশি ধান পাবেন বলে আশা করছেন।
তিনি জানান, সকল কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী পরবর্তী মৌসুমে এ প্রজাতের বীজ তিনি সরবরাহ করে এলাকায় উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করবেন। সাত সদস্যর পরিবারের ভরণপোষণ, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ মিটিয়ে অতিরিক্ত অর্থ সঞ্চয় করে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে তিনি গোটা পরিবারে। কৃষক ইব্রাহিম হাওলাদার এখন ওই এলাকার একজন সফল চাষি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
এ সর্ম্পকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপংকর সমাদ্দার বলেন, ব্রি ধান ৭৫ নতুন এ প্রজাতের ধান উৎপাদনের ক্ষেত্রে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষককে সম্মানিভাতাসহ এক দিনের প্রশিক্ষণ, বিনামূল্যে পাঁচ কেজি বীজ, প্রয়োজনীয় রাসায়নিক সার, খেত পরিচর্যার জন্যে নগদ টাকাসহ সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে পোকামাকড়-রোগবালাই আসার পূর্বেই কৃষক তার স্বল্প সময়ে অতিরিক্ত ফসল ঘরে তুলতে পারছেন।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মজুমদার বলেন, নতুন প্রজাতের এ ধানের বাম্পার ফলনে এলাকায় সাড়া পড়ে গেছে। পরবর্তী মৌসুমে কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী এলাকায় এ প্রজাতের বীজ সরবারাহ বৃদ্ধি করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য দাবি জানান তিনি।