
বাল্য বিয়ে, জালিয়াতি, প্রতারণা ও নকল নিকাহ বই উদ্ধারের ঘটনায় যশোরের বিতর্কিত কাজী মোহাম্মদ হুসাইনসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর যশোর আরবপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার মন্ডলগাতীর আব্দুল হামিদ মামলাটি করেছেন।
অন্য ৩ আসামি হচ্ছেন, খোলাডাঙ্গা মফেজপাড়ার ফরিদ উদ্দীন বিশ^াসের ছেলে শামিম বিশ^াস, খোলাডাঙ্গা ব্র্যাক অফিসের পাশের মৃত আবু জাফরের ছেলে আজাহারুল ইসলাম ও বেজপাড়া চোপদারপাড়া পাকারমাথা মসজিদের পাশের ওয়াজেদ আলীর ছেলে আব্দুস সালাম। মামলা সিআর নাম্বার ১৩৫৯/২০২০।
মামলায় বলা হয়েছে, পশ্চিম বারন্দিপাড়ার দুরুদ আলীর ছেলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী মোহাম্মদ হুসাইন একজন আলোচিত প্রতারক। তিনি জাল সিল ও জাল নিকাহ রেজিস্টার বই তৈরি করে অবৈধভাবে অনেক বিয়ের দলিল সৃষ্টি করেছেন। নিজ এলাকার বাইরে অন্য কাজীর এলাকায় বিয়ে সম্পাদন করে চলেছেন। তার এসব প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করেন শামিম বিশ^াস, আব্দুস সালাম ও আজাহারুল ইসলাম। তাদের অপকর্মে বাধা দিলে হত্যার হুমকি, বানোয়াট মামলায় জড়ানোর হুমকি দেন। ওই চক্রের হোতা হোসাইন কাজী জালিয়াতির মাধ্যমে মিথ্যা নিকাহ নামা রেজিস্ট্রি বই সৃষ্টি করেন। তার কাছ থেকে নকল নিকাহ নামা রেজিস্টার বই উদ্ধার হয়। সম্প্রতি আরবপুর এলাকায় ঢুকে প্রতারণামূলক নকল নিকাহ বই দিয়ে বিয়ে পড়াতে গিয়ে ধরাশায়ী হন। ওই এলাকার কাজী আব্দুল হামিদ লোকজন দিয়ে তাকে আটক করেন। এসময় কৌশলে তিনি পালিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে উপজেলা কাজী সমিতির কাছে অভিযোগ করা হলে আসামি হোসাইন উত্তেজিত হয়ে মারমুখি আচরণ করেন। পরে গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেন বাদীকে। জালিয়াতি বিশ^াসভঙ্গ ও অধিক্ষেত্রে বাইরে গিয়ে বিয়ে সম্পাদন করা চক্রের দ্রুত আটক ও শাস্তি দাবি করেন বাদী আব্দুল হামিদ।