
একন বাজারে গেলি ঠাই বিয়াকুপ হওয়া ছাড়া কোন উপায় পাচ্চিনে। বাজারে যাইয়ে এ মাতা ও মাতা চরকি কলের মতো ঘুইরেও খইতেই কিচু ফেলতি পাত্তিচিনে। সব কিচুর মতো আস্তের আস্তের বাজারের সবজিও সাধারন মানসির কিনার ক্ষেমতার বাইরি চইলে যাচ্চে। এরমদ্দি কয়ডা সবজি তো সেঞ্চুরি কইরে ফেলায়েচে। এক কেজি সবজির দাম যদি একশ বা তার বেশী হয় তালি আমাগের মতো খেড়ি খুদা মানুসরা কনে যাবে কওদিনি বাপু!
এ সপ্তায়ও কুমার বদলে আরো কয়ডা সবজির দাম বাইড়ে গেচে। আলুর দাম হাফ সেঞ্চুরী কইরে সেঞ্চুরীর দিকি যাচ্চিল। তাই নিয়ে হুটোপাটা বাদলি দাম বাইন্দে দিলো সরকার। কিন্তুক কাজীর গরু কিতাবে আচে গইলি নেই। কিনতি গেলি দাম নিয়ে সেই পলাপলি খেলা। সরকারি হিসেব মতে ৩০ টাকা কেজি দাম বাইন্দে দিলিও তলশুড়া কইরে তা বিক্কির হচ্চে ৪৫/৫০ টাকা কেজি। কিচু কতি গেলি দুকানদার চোকমুটা কইরে কচ্চে নিলি নেও, না নিলি জাগা খালি করো, নিয়ার বহুত লোক আচে। সেদিন ফেসবুকি দেখলাম এক ভাইপো এট্টা ছবি ছাইড়েচে। তাতে আলু পিয়েজরে মিজাজ দেকায়ে কচ্চে একনতে আমারে স্যার কইয়ে ডাকপি। ছবিডা হেজেমানে কইরে বুজলাম, একন পিয়েজের চাইতি আলু নিয়ে বেশী হুটাপাটা হচ্চে, তাই পিয়েজ টপকায়ে আলুর এত ডিমান। গ্যালো সপ্তার মতো একনো শিম, ট্যামাটুম, বেগুন, উস্তে, বরবটি একশ’র ঘরেই রইয়েচে। পটল, কলা, ঝিঙে, কাকরোল, ওল, কচু, কচুর লতি এসব একন পঞ্চাশের ওপর দিয়ে যাতি চাচ্চে। বাজারে আগাম আসা শীতির সবজি ফুলকপি পাতা কপিও এগের সাতে দল বাইন্দেচে। পঞ্চাশের নীচে শুদু মুলো, পেপে, ডাটা, পুইশাক আর কিচু বাগানে শাক। কাচা ঝাল একন স¹লির ওপরে দুই’শর নিচেয় লাবদিই চাচ্চে না। একন দুডো ভত্তা ভাত খাওয়াও বড়লোকি কারবার মনে হচ্চে। এক সাজের বাজার কত্তি গেলিও একন কড়কড়ে পাচশ’র নোট ছাড়া হচ্চেনা তাও মাছ গোস্ত বাদে।
এক সুমায় কওয়া হইতো, ডাল গরীবির গোস্ত! সেই ডালও পিরায় দেড়শ ধরবো ধরবো। ভাল কিচু কিনতি না পারায় লজ্জায় বাজারে না যাইয়ে ভুকসি মাইরে থাকতি হচ্চে। কিডা জানে, আসছে শীতি করোনা ঠেকাতি দাম বাড়ায়ে লোক বাড়ির মদ্দি রাকার ইডা কোন কোন বুদ্দি কিনা!
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮ ৮৭১০০৩