
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছেড়েছেন আগেই, খেলে যাচ্ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। শুক্রবার ন্যাশনাল টি-২০ কাপ থেকে তার দল বেলুচিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর সব ধরনের ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন ৩৬ বছর বয়সী গুল।
নিজের ক্যারিয়ারের শেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচটিতে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি গুলের। আগে ব্যাট করে তার দল বেলুচিস্তান করেছিল ১৬১ রান। জবাবে মাত্র ১০.৪ ওভারেই জয়ের লক্ষে পৌঁছে যায় সাউদার্ন পাঞ্জাব, এর মধ্যে গুলের ২ ওভার থেকেই ৩৪ রান নিয়েছে তারা। এ জয়ে নিশ্চিত হয় তাদের শেষ চারের টিকিট, বাদ পড়ে যায় বেলুচিস্তান।
ম্যাচ শেষে কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছেড়েছেন গুল। দীর্ঘ প্রায় ২০ বছরের ক্যারিয়ারে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলার পর নিজের আবেগ সংবরণ করতে পারছিলেন না পেশোয়ারে জন্ম নেয়া এ পেসার। সতীর্থ প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রা তাকে সান্তনা দেয়ার চেষ্টা করেন। দুই দলের খেলোয়াড়রা মিলে দেন গার্ড অব অনার।
পরে বিদায়ী বক্তব্যে গুল বলেন, প্রায় দুই দশক ধরে নিজের ক্লাব, শহর, প্রদেশ এবং দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারাটা অনেক বড় সম্মানের। আমি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট উপভোগ করেছি। এটা আমাকে কঠোর পরিশ্রম, শ্রদ্ধা, আত্মনিবেদন ও অধ্যবসায়ের শিক্ষা দিয়েছে।
২০০১-০২ মৌসুমে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল গুলের। জাতীয় দলে নাম লেখাতে মাত্র নয়টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলতে হয় তার। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফরে টেস্ট অভিষেক হয় এই পেসারের। একই মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু করেন তিনি।
পাকিস্তানের হয়ে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি প্রায় চার বছর আগে খেলেছেন গুল। প্রায় এক যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৪৭ টেস্ট, ১৩০ ওয়ানডে ৬০ টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন গুল। যেখানে তার শিকার যথাক্রমে ১৬৩, ১৬৯ ও ৮৫টি উইকেট।
এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রায় ২০ বছরের ক্যারিয়ারে ১২৫ প্রথম শ্রেণির ম্যাচ, ২১৩ লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ ও ১৬৭ টি-২০ খেলেছেন ডানহাতি এ পেসার। সবমিলিয়ে তার ঝুলিতে জমা পড়েছে ৯৮৭টি উইকেট। ২০০৯ সালে পাকিস্তানকে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতানোর পথে আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন গুল।