
গিরামের এক লোক হাউস কইরে একবার তার ছাবালরে টাউনি বেড়াতে নিয়ে গেচে। ছাবালের বহুত দিনির শখ টাউন বাজার ঘুইরে দেকপে। বিটাডা তার ছাবালরে বাইসাইকেলের ক্যারিয়ালে বসায়ে বিয়েনবিলা বাড়িত্তে বাইরোয় পইড়েচে টাউন দেকাতি। নানান জাগা ঘুরোয় ঘারায় দেকাতি দেকাতি দুপার গইড়োয় যাওয়ার জুগাড়। রইদ আর খিদেয় ছাবালের মুক শুকোয় চুচড়ো মাইরে গেচে। কতায় কয় প্যাটে খালি পিটি সয় সিরাম দশা। ছাবালের মুকি রা নেই দেইকে তার বাজান ভালো এট্টা হোটেলের সুমকি সাইকেল রাইকে মদ্দি ঢুইকেচে দুডো দানাপানি মুকি দিয়ার জন্যি। প্যাট যদি জলে, নুন ভাত হলিও চলে, সিরাম দশা বাপ বিটার। তাই বেশী ভানাচি না কইরে হোটেল ছ্যামড়াডারে দুই পেলেট ভাত আর ডিম তয়কার দিয়ার হুকুম দেচে। খাওয়া আসলি দুইজনে মচ্চি মুলামে বসান দেচ্চে। এরমদ্দি হটাস ছাবাল তার বাপরে ডাইকে কচ্চে, আব্বা ডিমির কুসুমির মদ্দি মনে হচ্চে কুকড়োর ছা থাইকে গেচে। নিজির খাওয়া বাদ দিয়ে বিটাডা তার ছাবালের পাতের দিকি ভালো কইরে তাগায় দেকে সত্যিই তো ডিমির মদ্দি কুকড়োর ছা পানা দেকা যাচ্চে। বিটাডা আলুক ফুলুক কইরে আশপাশ তাগায়ে কচ্চে, কতা না কইয়ে ঘাড় গুইজে জলদি খাইয়ে নে। হোটেলয়ালা দেকতি পালি ডিমির সাতে কুকড়োর ছা’র দামও ধইরে নেবেনে!
ঘটনাডা হটাস মনে পইড়ে গ্যালো কারেন বিল নিয়ে নানান কান্ড কারখানায়। করোনার এই দুসসুমায়তি সরকার জনগনোর কতা ভাইবে কইলো জুন মাস পন্তিক কারেন বিল না দিলি আসল বিল ছাড়া দেড়ি গুনোগারি দিয়া লাগবে না। লোকের কাজ কাম নেই ঘরে বইসে আচে সেই কতা বিবেচনা কইরে নিদ্দেশডা দিলো। কিন্তুক কারেনয়ালারা ছিলো তাগেবাগে হাতে মাত্তি পাল্লাম না ভাতে মরাব সিরাম বুদ্দি পাতায় দেলে। পেত্তেমে দেলে অপিসে বইসে মন উক্তিক বিল গড়ায়ে। হিসেবের চাইতি বেশী বিল দেইকে যকন লোকজন হৈচৈ শুরু কল্লে তকন কলে অভিযোগ পালি দেড়ি বিল ঠিক কইরে দিবানে। এই লাইনি যুইত কত্তি না পাইরে চাপনিতি দেচে ভ্যাট বাড়ায়ে। অভিযোগ উইটেচে আগে যা ভ্যাট ছিলো তার চাইতে বেশী ধইরে গড় মিলোনোর চিস্টা দেচ্চে।
মুক্কু সুক্কু মানুস বিলে এট্টা জিনুস বুজ পায় নে, নিজির টাকায় মিটার কিনে, নিজির জাগায় খুটি গাইড়ে, নিজি মিস্তিরি খরচ দিয়ে লাগানোর পরও পেত্তেক মাসে মিটার ভাড়া হিসেবে দেড়ি টাকা কেন বিলির সাতে গুনতি হবে কওদিনি বাপু?
ইতি-
অভাগা আক্কেল চাচা
০১৭২৮ ৮৭১০০৩