এম. জিহাদ

কঠোর নিরাপত্তায় আজ অনুষ্ঠিত হবে যশোর সদর উপজেলার উপনির্বাচন। উপজেলার পাঁচ লক্ষাধিক ভোটার ব্যালটের মাধ্যমে বাছাই করবেন তাদের যোগ্য প্রতিনিধি। সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ চলবে।
এক হাজার চারশ’ ৮৮টি ব্যালট বাক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি গতকালই পৌঁছে গেছে কেন্দ্রগুলোতে। ভোট গ্রহণে দায়িত্ব পালন করবেন একশ’ ৭৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, এক হাজার তিনশ’ ১৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও দু’ হাজার ছয়শ’ ২৬ জন পোলিং এজেন্ট। মাঠে থাকবে ১১ জন ম্যাজিস্ট্রেট, দেড় হাজার পুলিশ, দু’ হাজার আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। করোনার মধ্যেই চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট গ্রহণ করা হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই।
সোমবার সকালে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশ, আনসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা বুঝে নিচ্ছেন ভোট গ্রহণের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। সকাল নয়টা থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এর আগে ৪ অক্টোবর প্রতীক পেয়ে প্রচারণা শুরু করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাাম নীরা ও ধানের শীষের প্রার্থী মোহাম্মদ নুর-উন-নবী। টানা ১৫ দিন প্রচার-প্রচারণার পর গত রোববার রাত ১২টায় শেষ হয়। স্মার্ট উপজেলা গড়ার অঙ্গীকার করে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরজাহান ইসলাম নীরা। অন্যদিকে, মানুষের অধিকার ফিরে পেতে ও গণতন্ত্রের মুক্তির লক্ষ্যে ছ ভোট চান বিএনপি প্রার্থী মোহাম্মদ নুর-উন-নবী। তবে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ বিকেল পাঁচটার পরই বোঝা যাবে কে হচ্ছেন সদর উপজেলার অভিভাবক। সুষ্ঠু ভোট হলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দু’প্রার্থী।
রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণের জন্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সদর উপজেলার চেয়ারম্যানের পদ ত্যাগ করে শাহীন চাকলাদার যশোর-৬ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। এ কারণে এ বছরের ১৪ ফেব্রæয়ারি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।