
মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৩৮০ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৯১ হাজার ৫৮৬ জন হল। আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ১৮ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ৬৯৯ জনে দাঁড়াল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসেবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৪২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৩ লাখ ৭ হাজার ১৪১ জন হয়েছে। দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ১ হাজার ৩৮০ জন। মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৪ কোটি ৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ লাখ ১৮ হাজারের ঘরে। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে সপ্তদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন, নারী ৪ জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৫ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্য এবং ২ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। সামনে শীত মৌসুমে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে সরকার শঙ্কা প্রকাশ করছে। সরকার ইতিমধ্যে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। আসুন আমরা সবাই সতর্ক হই। করোনা এড়াতে আসুন আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।