
কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বাঘারপাড়ার চাপাতলায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। গুরুতর অবস্থায় তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
তবে, মামলা করলে এবার ওই পরিবারের সবাইকে প্রাণে মারা হবে বলেও শাসিয়েছে অভিযুক্তরা।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, ভর্তি চাপাতলার প্রবাসী আক্কাস আলীর স্ত্রী সালমা বেগমের উপর কুদৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের শমসের আলীর ছেলে আব্দুল খালেকের। সে প্রায়ই কুপ্রস্তাব দেয়াসহ সালমা বেগমকে উত্যক্ত করছিল। এ নিয়ে কয়েকবার তার পরিবারের কাছে অভিযোগ করলে উল্টো সালমা বেগম ও তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি দেয়া হচ্ছিল। এরই এক পর্যায়ে ২০ অক্টোবর বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আব্দুল খালেক প্রতিবেশি সালমার বাড়িতে গিয়ে অশালীন আচরণ শুরু করে। টানা হেঁচড়া করে সালমার শ্লীলতাহানি ঘটায় খালেক। এসময় তিনি চিৎকার দিলে খালেক ‘চুপ চুপ’ বলে মারপিট শুরু করে। এরপর খালেকের ছেলে আজিজুল ও স্ত্রী তাসলিমা এসেও মারপিট শুরু করে। এ সময় খালেক শাবল দিয়ে আঘাত করে হত্যার চেষ্টা চালায় সালমা বেগমকে। সালমা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। ছেলে হুমায়ুন বাড়ি ফিরে মাকে পড়ে থাকতে দেখে। তাকে উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
হাসপাতালে ভর্তি সালমা বেগম ও তার বোন মোমেনা বেগম জানান, তাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে খালেক চক্র। অনেক দিন ধরে খারাপ আচরণ করে আসছিল। এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্ট করেছে।
এ ব্যাপারে আজ তারা বাঘারপাড়া থানায় মামলা করবেন বলেও জানান।