
যশোরের চুড়ামনকাটির বাগডাঙ্গার কাঠ ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা খুনের ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন স্ত্রী সালমা বেগম। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহতের ব্যসায়িক পাটনারসহ চারজনকে আটক করেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে, পুলিশ আটকের বিষয়টি স্বীকার করেনি। এলাকাবাসীর ধারণা ব্যবসায়িক লেনদেন সংক্রান্ত দ্বন্দ্বে মোস্তফাকে খুন করা হয়েছে।
নিহত গোলাম মোস্তফা কাঠ ব্যবসায়ী ছিলেন। চুড়ামনকাটি বাজারসহ এলাকার বিভিন্ন বাজারের কাঠ ব্যবসায়ীদের সাথে তিনি ব্যবসা করতেন। অনেকের সাথে তার টাকার লেনদেন ছিল। নিহতের ছেলে হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, প্রতিদিনের মত তার বাবা ২৪ অক্টোবর দুপুরে বাড়ি থেকে ভাত খেয়ে ব্যবসায়িক কাজে চুড়ামনকাটি বাজারে যান। রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি। ২৫ অক্টোবর সকালে চুড়ামনকাটি কাশিমপুর সড়কের ঘোনা গ্রামের রাম প্রসাদের মেহগনি বাগানের নিচে বুড়ি ভৈরব নদ থেকে তার গলাকাটা করা ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র থেকে তথ্য মিলেছে, ঘটনার দিনই তার প্রধান ব্যবসায়িক পার্টনার চুড়ামনকাটি গ্রামের রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহকে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকেও মিলতে পারে হত্যা সংক্রান্ত নানা তথ্য।
এদিকে ২৫ অক্টোবর রাতে স্থানীয় সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ঘোনা গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে চঞ্চল ও রহমান এবং চুড়ামনকাটি মালোপাড়ার রবিউলের ছেলে সজিবকে আটক করেছে বলে ভুক্তভোগীদের পরিবারের অভিযোগ। অবশ্য আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশের ইনর্চাজ এস আই কামরুজ্জামান। রহমানের বাবা আহাদ আলী গ্রামের কাগজকে বলেন বাড়ি থেকে তার দু’ছেলেকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। অপর দিকে মোস্তফার মূল ব্যবসায়িক পার্টনার আব্দুল্লাহর বাবা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন দুপুরবেলা পুলিশ তার ছেলেকে আটক করে। এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের দাবি আটকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের রহস্য বেরিয়ে আসতে পারে।
এ ব্যাপারে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই কামরুজ্জামান জানান, পুলিশ মূলত ব্যবসায়িক লেনদেনের কারণে খুন হতে পারে কিনা সে ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে যশোর কেতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, অজ্ঞাতদের আসামি করে নিহতের স্ত্রী মামলা করেছেন। হত্যায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে। দ্রুতই খুনিরা আটক হবে। এব্যাপারে কাউকে আটকের বিষয় তিনি অস্বীকার করেন।