খবিরের ৫৬ হাজার টাকার কয়েন এক লাখ টাকায় বিক্রি
গ্রামের কাগজের আবিস্কার ও সংবাদ প্রকাশ
এস আর এ হান্নান, মহম্মদপুর (মাগুরা) থেকে :
Published : Wednesday, 28 October, 2020 at 5:42 PM
অসহায়ের সহায় হয়ে বিপদে পড়া দরিদ্র সবজি বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম খবিরের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। তিনি এখন বিপদ ও দুশ্চিন্তা মুক্ত। দরিদ্র কুটিরে জমানো ৫৬ হাজার টাকার কয়েন বিক্রি করেছে এক লাখ টাকায়। বুধবার বিকালে মেকা ফার্মাসিউটিক্যাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি নিয়ামুল করিম টিপু খবিরের বাড়িতে গিয়ে ৫৬ হজার টাকার কয়েন কিনে নেন নগদ এক লাখ টাকায়। এরআগে কয়েন নিতে শুরু করে স্থানীয় সোনালী ব্যাংক। খবির এখন বিপদমুক্ত। তার বিপদমুক্তির পথ সুগম করে দেয় দৈনিক গ্রামের কাগজ। খবিরের কয়েনের বিষয়টি নিয়ে দুইদফা সংবাদ প্রকাশ হয় গ্রামের কাগজে।গত ১৭ অক্টোবর শেষ পাতায় ‘দরিদ্র সবজি বিক্রেতার ঘরে ৬ মণ কয়েন’ শিরোনামে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। পাঠকের কাছে ব্যাপক আলোচিত এবং সমাদৃত হওয়া এ সংবাদটি উপজেলা নির্বাহী অফিস রামানন্দ পালের গোচরে আসলে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা কার্যালয়ে তড়িৎ যোগাযোগ করেন। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে সোনালী ব্যাংক মহম্মদপুর শাখাকে খবিরের কয়েন গ্রহণের জন্য বলা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে সবজি বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম খবির স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে কয়েন জমা দেন। একবারে না হলেও পর্যায়ক্রমে খবিরের ঘরে জমাকৃত ৬ মণ কয়েনই সোনালী ব্যাংক গ্রহণ করবেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এরপর গত ২৩ অক্টোবর ‘খবিরের ৬ মণ কয়েনই নিচ্ছে সোনালী ব্যাংক’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। খবিরের কয়েনের বিষয়টি গ্রামের কাগজের আবিস্কার। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়টি উঠে আসে।
খাইরুল ইসলাম খবির বলেন, আমি এখন চিন্তামুক্ত। আমার সব কয়েনই বিনিময় হয়ে গেছে। মেকা ফার্মাসিউটিক্যালের এমডি নিয়ামুল করিম টিপু এ প্রসঙ্গে বলেন, খবিরের গচ্ছিত কয়েন তার সম্পদ হওয়া উচিত, বোঝা নয়। আমাদের প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। দরিদ্র খবিরের উপকারের বিষয়টি তারই অংশ।