
আর
মাত্র কয়েক ঘন্টা। বৃহস্পতিবার থেকেই আইসিসির নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি
পাবেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের
প্রস্তাব পেয়েও আকসুকে না জানানোয় গত বছরের ২৯ অক্টোবর সাকিবকে নিষিদ্ধ করে
আইসিসি। মূল শাস্তি ছিল দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা, তবে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা
ছিল স্থগিত।
নিষিদ্ধ হওয়ার পর কয়েক মাস দেশেই ছিলেন সাকিব। এরপর শুরু হয়
করোনার আগ্রাসন। সাকিব চলে যান যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী সন্তানের কাছে। তার
দ্বিতীয় সন্তান পৃথিবীর আলো দেখে গত এপ্রিলে। তাদের সাথে সাড়ে পাঁচ মাস
কাটিয়ে তিনি দেশে ফেরেন গত ২ সেপ্টেম্বর। শুরু হয় মাঠে ফেরার প্রস্তুতি
পর্ব। বিকেএসপিতে চলে সাকিবের একাকী অনুশীলন।
সবার প্রত্যাশা ছিল
বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে সাকিব ফিরবেন আন্তর্জাতিক
ক্রিকেটে। কিন্তু হয়নি। স্থগিত হয়ে যায় লঙ্কা সফর। ফলে ১ অক্টোবর তিনি আবার
যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। সেখানে অবশ্য অনুশীলন চালিয়ে গেছেন।
বৃহস্পতিবার
থেকে মুক্ত সাকিব। নভেম্বরে ঘরোয়া টি-২০ টুর্নামেন্ট দিয়েই নতুন পথচলা
শুরু হবে তার। কয়েকদিন আগে এমনটি নিশ্চিত করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল
হাসান। সাকিবের ফেরা নিয়ে রোমাঞ্চিত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ রাসেল
ডমিঙ্গো। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে তার দেশে ফেরার কথা।
সাকিবের
নিষেধাজ্ঞার সাথে করোনার নামটিও জড়িয়ে আছে। এই ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বই
থমকে গেছে। ফলে দীর্ঘদিন ক্রীড়াঙ্গনের কার্যক্রমও বন্ধ ছিল। সাকিবের
নিষেধাজ্ঞার এই সময়টায় এক পঞ্জিকাবর্ষে নিজেদের সবচেয়ে বেশি টেস্ট খেলার
কথা ছিল বাংলাদেশের। এশিয়া কাপ, টি-২০ বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্ট ছিল
সূচিতে।
কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চের পর কোনো আন্তর্জাতিক
ম্যাচ খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। সেই হিসাবে সাকিব মিস করেছেন হাতে গোনা
কয়েকটি ম্যাচ।