
যশোরের নওয়াপাড়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত প্রকৌশলী হীরকের স্ত্রী শাওন (৩২) দশদিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে হেরে গেলেন। বুধবার ভোর ছয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি ওই দুর্ঘটনার পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
নওয়াপাড়ার ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় শাওনসহ পাঁচজন মারা গেলেন। সেসময় দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারে থাকা ছয়জনের মধ্যে শুধু বেঁচে রইলো হীরকের দেড় বছর বয়সী মেয়ে হুমায়রা।
১৬ অক্টোবর নড়াইল শহরের ভওয়াখালী এলাকার মৃত সানাউল্লাহ ভূঁইয়ার ছেলে প্রকৌশলী হীরক ভূঁইয়া (৩৫), তার বড় বোন শিল্পী বেগম (৪২), স্ত্রী শাওন (৩০), ভাতিজি রাইসা (৭) এবং তার বন্ধু শহরের রূপগঞ্জ এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ব্যবসায়ী আশরাফুল আলম (৩৪) যশোরের নওয়াপাড়া যাচ্ছিলেন। বিকেলে নওয়াপাড়ার ভৈরব সেতু রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় একটি ট্রেন তাদের বহনকারী কারটিকে ধাক্কা দেয়।
এতে নিহত হয়েছিলেন হীরক, তার বোন শিল্পী, ভাতিজি রাইসা ও বন্ধু আশরাফুল। আহত হয়েছিলেন শাওন ও তার কন্যা হুমায়রা। বুধবার শাওনও মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।
শাওনকে রাজবাড়ির চরলক্ষ্মীপুর এলাকায় তার বাবার বাড়িতে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। শাওনের মেয়ে তার নানা হারুনুর রশিদ এবং নানি সালমা আক্তার মিনুর কাছে রয়েছে। দুর্ঘটনায় হুমায়রার বাম হাত ভেঙে গেছে। বর্তমানে সে সুস্থ হয়ে উঠছে বলে পরিবার জানিয়েছে।