
তিন কোটি ১৪ লাখ ৩৫ হাজার ৯০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় কারা অধিদফতরের সাময়িক বরখাস্তকৃত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫ এর বিচারক ইকবালের আদালতে তার আইনজীবী জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
এর আগে ২২ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ- ৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ২২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিশেষ জজ-৫ আদালতে বদলির আদেশ দিয়ে চার্জ গঠনের জন্য ২২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। ২৬ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দীন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে বলা হয়, বজলুর রশীদ রূপায়ন হাউজিং স্টেট থেকে ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী রোডের ৫৫/১ (পুরাতন) ৫৬/৫৭ (নতুন) নির্মাণাধীন স্বপ্ননিলয় প্রকল্পের ২৯৮১ বর্গফুট আয়তনের অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন। ইতোমধ্যে অ্যাপার্টমেন্টের মূল্যবাবদ তিন কোটি আট লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন তিনি। অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়বাবদ বজলুর রশীদ যে টাকা পরিশোধ করেছেন, এর স্বপক্ষে কোনো বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।
এমনকি তিনি অ্যাপার্টমেন্টের ক্রয়-সংক্রান্ত কোনো তথ্য তার আয়কর নথিতে দেখাননি। পরিশোধিত তিন কোটি আট লাখ টাকা জ্ঞাতআয় উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ দুদক আইন ২৭ (১) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই দিনই দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে বজলুর রশীদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। এরপর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।