
যশোরের মণিরামপুরে বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের দায়ে এক ব্যক্তির ১৪ বছরেরর সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামি সোহাগ আলী মণিরামপুর উপজেলার মাছনা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। বৃহস্পতিবার যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মাহমুদা খাতুন এ রায় ঘোষণা করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসাথে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ অভিযোগ হতে খালাস প্রদান করেছেন বিচারক। এসময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল উপস্থিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বর মণিরামপুরের মাছনা গ্রামের শামসুর রহমানের ছেলে মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে যশোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, সোহাগ তার মেয়ে মাহমুদাকে প্রায় উত্ত্যক্ত করতো। একপর্যায়ে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই তার মেয়েকে মাছনা মাদ্রাসার পাশ থেকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে সোহাগ। পরে তাকে বিজয়রামপুর গ্রামের সোহাগের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
আদালত মামলায় ছয় জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়,আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০(সংশোধনী-২০০৩)এর ৭ ধারার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ সাজা প্রদান করা হয়। এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০ (সংশোধনী-২০০৩) এর ৯(৪)(খ)ধারার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয়।