
যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখায় ধারাবাহিকভাবে যোগ হচ্ছে সাফল্য। গত কয়েক মাসে ক্লুলেস অনেক ঘটনার রহস্য উন্মোচন, আসামি শনাক্ত ও আটক করে আলোচনায় আসা ডিবি এবার চোর সিন্ডিকেটে আঘাত হেনেছে। এবার ৮টি চোরাই ইজিবাইকসহ চোর চক্রের ৮ সদস্যকে আটক করেছে।
যথাযথ প্রমাণ দিয়ে ভুক্তভোগী মালিকগণ ইজিবাইকগুলো পুলিশের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। ৭ নভেম্বর প্রেস ব্রিফিং করে চোর চক্রের নানা তথ্য উপাত্তও দিয়েছেন তিনি।
যশোরে পরপর অনেকগুলো ইজিবাইক চুরি হওয়া ও কয়েকটি মামলার ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা শাখাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ সৌমেনের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম প্রথমে চুরি হওয়া ইজিবাইক বেচা কেনার সময় পালবাড়ি মোড় থেকে ৫ জনকে হাতেনাতে আটক করেন। এরপর তাদের স্বীকারোক্তিতে আরো কয়েকটি এলাকা থেকে আরো তিনজনকে আটক করা হয়। ডিবির অভিযানে উদ্ধার হওয়া আরো ৬ টি ইজিবাইক যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রয়েছে। সঠিক প্রমাণ দিয়ে চুরি হওয়া ইজিবাইকগুলো নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুলিশ সুপার। আটককৃতদের নামে চুরির মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৫ জন ঘটনায় জড়িত বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
গতকাল প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ তথ্য দিয়েছেন, প্রথমে ৫ জনের স্বীকারোক্তিতে যশোরের নুরপুর, মণিরামপুরের রাজগঞ্জ ও খুলনার হরিনটানা কৈয়া বাজার থেকে আরো ৩ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে যশোর সদর উপজেলার আমবটতলা সাজিয়ালী গ্রামের আজিজের ছেলে রাজু (২১), খুলনা দিঘলিয়া উপজেলার হাজিগ্রাম উত্তর পাড়া এলাকার বাবলু মোল্লার ছেলে রাজু মোল্লা (২৩), যশোর বেজপাড়া এলাকার নূরনবী মেম্বারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইয়ার আলী মোল্লার ছেলে শাহাদাত (২০), যশোর বেজপাড়া পানির ট্যাংক এলাকার মৃত মিজান শেখের ছেলে আনারুল ইসলাম, যশোর সদর উপজেলার ধর্মতলা হ্যাচারীপাড়া এলাকার জাকির সরদারের ছেলে শাহীন (২০), নুরপুর দক্ষিণ পাড়া এলাকার জামাল গাজীর ছেলে রবিউল ইসলাম গাজী (৩৫), মণিরামপুর উপজেলার দোনার গ্রামের আশরাফ আলী বিশ্বাসের ছেলে সোহেল রানা (২৩) ও খুলনা হরিনটানা কই বাজার জয়খালি এলাকার মিলু শিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদার (২৩)।
পুলিশ সুপার আশরাফ জানান, গত ২ অক্টোবর যশোর সদর উপজেলার বাগডাঙ্গা এলাকার নুর ইসলামের গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। একইভাবে একই গ্রামের ইজিবাইক চালক করিম বিশ্বাস ও পোলতাডাঙ্গার সাইফুল ইসলামের দুটি ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করার পরেও ইজিবাইক তিনটি না পাওয়াতে ৫ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। মামলাটি তদন্তের জন্য যশোর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হলে তারা এই উদ্ধার ও জড়িতদের আটকে সাফল্য দেখিয়েছে।